যে ছেলেটির কপাল ফুটো বুলেট বুকে
শুইয়ে আছে রক্তাক্ত হয়ে মাটির আঁচলে।
ও কি রাজনীতি বুঝতো ?
ও তো চাইতো কালো ব্লাকবোর্ড-এর উপর
একটা নতুন সকালের ছবি আঁকতে।
যে ছাত্রী গুলো স্কুল থেকে অপহরণ হলো
হয়তো বা কদিন পর
ওদেরও বানানো হবে যৌনদাসী।
ওরা কি চিনতো আতঙ্কবাদী ?
ওরা তো চিনতো স্কুল ঘরের দেওয়ালে টাঙানো
গুণী ব্যক্তিদের ছবি গুলোকে।
যে লোক গুলো গলা কাটা হয়ে পড়ে আছে
গাছের গুড়ির মতো একের পর এক।
ওরা কি জানতো চতুরতা ?
ওরা তো শুধু জানতো কেমন করে জাগাতে হয়
মাটির বুকে সবুজ সন্তান, আর জানতো দিনান্তে
কাস্তে কোদালের পাশে নিশ্চিন্তে একটুখানি ঘুম।
তবু ওরা আঁচড় খেলো হিংস্রতার ধারালো নখে,
কামড় খেলো লোলুপতার শানানো দাঁতে
শিকার হলো আগ্রাসনের শক্ত চঞ্চুতে আজ।
আর আমরা,
এমন সব দৃশ্য নিমেষেই ভুলে-
জীবন চিত্রের এ সব খবরের কাগজ গুলোকে
দিব্যি কাগজের নৌকা বানিয়ে ভাসিয়ে দিচ্ছি
দ্বায়িত্বহীনতার জলে।
বিবেকের বাক্সে প্রতিবাদ কে বন্দি রেখে
ঠুকে দিচ্ছি আত্মকেন্দ্রিকতার তালা।