বিষাদ গাছে ফুল ফুটেছে
ওরে…..,
এবার তোরা উলুধ্বনি দে।
দিবা শেষে জল দিস্ মনে করে
এক দু-চাকা মাটি দিয়ে
ঢেকে দিস্ শূন্যতা।
বাকহীন শিকড়গুলোকে
জায়গা করে দিস্ বসতে,
ভাঙ্গা ডালে গোবর মেখে
পাতা মুঁড়কে বেঁধে দিস্।
ফু-দিয়ে মেঘ সরিয়ে
সূর্যালো আসতে দিস্,
নিবিড়তম যত্ন নিস
দেখবি-ফল দেবে শেষে।
খোলা ডাষ্টবিনের এই ভূখণ্ডে
এসব বৃক্ষপ্রানই ছিলো সম্বল,
প্রতিনিয়তই খুন করতো
তারা বায়ুসিক্ত সীসা-দুর্গন্ধ!
অথচ যাদেরকে বিলুপ্ত
করা হয়েছে ইতিমধ্যে,
যেসব বৃক্ষশিশুকে
লোভের দড়ি পড়িয়ে
ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে!
বংশ-নিঃবংশ করা হয়েছে!!
জীবন বীমার টাকার ভয়ে
তাদেরকে নিয়ে এখন আর
অত বাড়াবাড়ির কি দরকার!!
দু-একটা সমাবেশ
সেমিনার বা টকশোতে,
এক মিনিট নীরবতা
পালন করলেইতো হয়!
শহীদ মিনার বানানোর
কুপ্রস্তাবটা দিলো কোন দালালরা!!
থাক অতো বুঝে লাভ নেই,
আজকাল বৃক্ষের জন্যে
শোক করে লাভ নেই।
আজকাল শ্যাওলা নামক
বৃক্ষ জন্মে যত্রতত্র,
শাঁখার খাঁজে-জামার কলারে
নেত্রের শিরা-উপশিরায়।
আমরাও নিবিড়তম যত্ন নিই
এবং ফল ও পাই।