আমার ঘরটা তোমার ঘরের মত
এতটা পরিচ্ছন্ন এবং পরিপাটি নয়!
এখানে ধূলো জমে
নিজ স্বাধীনতায়,
সৃতিরা ইচ্ছেমত
আড্ডা মারে বিনা সংশয়ে,
এখানে অতি আনন্দে
কানে হেডফোন গুঁজে
গান শুনতে শুনতে
মাকড়সা্ নিঁখুত জ্বাল বুনে।
বাচ্চা ইঁদুর ফুরুত-ফারুত
এখানে সেখানে দৌড়ে ছুটে
খেলা করে, কভু কভু পটি করে
গন্ধ ও ছড়ায় আপন মনে।
তোমার ঘরটি অনেক আধুনিক!
মেঝেতে বালিকণার
অস্তিত্ব মেলা মানেই,
ঝাড়-ফোঁকের ছোট-খাট
হারিকেন বয়ে যাওয়া।
এই ঘরের আয়নাতে
নিজের প্রতিবিম্ব দেখা যায়,
চেনা ও যায়।
নিজেকে খুব বেশী নির্মল
আর সাবলীল মনে হয়,
তোমার চোখের ভাষা
এই ঘরের প্রতিটি কোণায়
ক্যালেন্ডার হয়ে ঝুলে থাকে।
তুমি সবসময় চাও
এবং চেষ্টা করো
আমার ঘরটাও যেন
তোমার ঘরের মতই
সুন্দর হয়,
কিন্তু আমি তা চাইনা।
কারন প্রত্যেকের নিজের ঘরটা
নিজের একান্ত
একটা পরিচয় বহন করে
এবং আমরা নিশ্চিত করে
বলতে পারি এটা ওমুকের ঘর-
এটা তমুকের ঘর।
আমি চাই আমি যখন
তোমার ঘরে যাবো,
তখন নিজেকে
পরিপাটি করে যাবো।
পা ধুয়ে-মুছে-শুকিয়ে
ফের দুয়ারে রাখা
পাপোসে পা মুছে
তারপর তোমার ঘরে
প্রবেশ করবো।
আর তুমি যখন
আমার ঘরে আসবে
তখন অত কিছু
ভাববার দরকার নেই,
যেভাবে আছো
সেভাবেই আসতে পারবে,
ধুলো-কাদামাখা জুতো নিয়েও
হুটহাট আসতে পারবে।
আমি মনে করি
আমাদের বাড়ীর ঘরগুলো
একেক রকম হওয়াটাই যুক্তিযুক্ত,
থাকবে ঘরগুলোর
আলাদা আলাদা পরিচিতি,
ঠিক একটি একটি মানুষের
নিজ অবয়বের মত।