শরৎ এসেছে রূপকথার পক্ষীরাজ অশ্বে চড়ে এই প্রিয় বাঙলায়
সেজেছে আকাশ যেন আজি নবরূপে মেখে রঙ নীলবাসে।
ফুটেছে রঙিন ছোঁয়ায় নদীর কূলে সাদা সাদা কাশফুল,
মৃদুমন্দ বাতাসে শীর তুলে করে আহ্বান রূপসী বাঙলার কবিকে।
এনেছে বহিয়া আগাম সওগাত হেমন্তের পাকা ধান ;
কৃষাণ-কৃষাণীর অধরের লাল হাসি।
দুরন্ত কিশোরী আলতা পায় হেঁটে বেড়ায় তটিনীর বাঁকে বাঁকে।
সন্ধ্যার আকাশে ডিঙি নৌকা স্রোতস্বিনীর বুক চিরে ভেসে চলে ;
গভীর নদীর জলে ধায় পরাণ মাঝি।
শিউলি ফুলের গন্ধে মৌ মৌ করে বাড়ির আঙিনা ;
কাননে ফুটে হিমঝুরি, বকফুল, পাখিফুল।
রজনীতে বয় স্নিগ্ধ শীতল সমীরণ, দোলা দেয় আকুল মনে,
পাখিরা ফিরে নীড়ে ;জ্যোৎস্না রাতে রচে কবি রূপসী বাঙলার কাব্য।