সাহারা- গোবী দুর্গম মরূ পথ পেরিয়ে
এলে চির কবিতা দেশ- শঙ্খচিলের ডানায়
চেপে দখিনা হাওয়ায় বসন্তকুমারী ; ফাগুনের
অন্ধকারে আমায় ডাকিলে , চোখের ভিতর
উদ্দাম ফাগুন- বুকে তার দুরন্ত ঝর্ণা
সে যে কোন এক নারী, স্পর্শে লজ্জাবতী!
নীল অন্ধকারে- উত্তাল জীবন সমুদ্রে
সে করে প্রাণপণ লড়াই ! ঘাসের ভিতর
তার ভরা নব যৌবন ; নীল কুয়াশার ডানায়
লেখা অশ্রুতে তার মরম বেদনা ! লাল সন্ধ্যার
গাঢ় রক্তিম সূর্যে আঁকা নীল মুখচ্ছবি।
পৃথিবীর পথে চলেছি হাজার বছর ; চলেছ তুমি
অঘ্রাণের ভরা দুপুরে। শাদা রোদের পাখনায়
সমস্ত অভিলাষ, হেমন্তের উৎসবে হাহাকার !
কপোলে তোমার নরম হাত- আঁখি মুছে ওড়নায়।
সমুদ্রের কিনারে আঁকা তার দুঃখ-রেখা,
কৃষ্ণচূড়ার রাঙা ফুলে বসন্তকুমারীর নীল অতীত,
জোনাক পোঁকার নরম আলোয় মুঠো প্রেম।
হাঁসেদের সনে খেলে জলকেলি, দেয় ডুব
পানকৌড়ি - শুভ্র বকের পাল উড়ে দিগন্ত ছুঁয়ে
সে চেয়ে থাকে তার পানে অবিরাম যুগের পরে যুগ।
বাতাসের গন্ধে খুঁজে বসন্তকুমারী শাশ্বত প্রেম,
সে কি পাবে? নাকি পাবে না ! তার বুকের
ভিতর চাপা কষ্ট কি কর্পূরের মতন উড়ে যাবে
শূন্যে কোথাও? শরতের কাশফুলে এঁকে দিবে
তার শাদা প্রেম ; পাখির পায়ে বাঁধে সে লাল-নীল চিঠি।