আমি জন্মেছি এক নিষিদ্ধ পল্লীতে,
পিতৃমাতৃ পরিচয়হীন
আমি পথে পথে ঘুরি এলোকেশে
    নাম গোত্রহীন।

আমার জুটে না দু'বেলা ঠিকঠাক
   দুমুঠো বাসি অন্ন
আমি বেড়ে উঠি ক্রমশ যত ঘৃণা লয়ে  
  সমাজের কীট-ঘৃণ্য।

আমি কখনো বটতলায়, কখনো রেলস্টেশনে
     করি অসহ্য  রাত্রিযাপন
কুকুরের সহিত করি পানাহার প্রত্যহ
    নিশিতে ঝরে কাঁদন।

জারজ বলিয়া খাই গালি লোকমুখে
   বলে বেশ্যাপুত্র তুই
অধিকার হতে বঞ্চিত আমি  যত সব
  মাথাগুজবার নাই এতটুকু ভূঁই।  

এ মানব সমাজে লোকচক্ষে যেন
   আমি বন্য-পশুর মতো,
আমি আমরণ বেঁচে থাকি আবর্জনা হয়ে
আছি বেঁচে খেয়ে লাথি গুঁতো যতো  
    

আমার জন্মে কি ছিল মোর হাত?
   বলো তো হে ভাই,
তবে কেন হারামজাদা বলে  দাও গালি
   কী পাপে করো দূর দূর ছাই?


জারজ বলিয়া যাহারে তুমি দাও গালি
সেই-ই  হতে পারে  নজরুল বা রবীন্দ্রনাথ,
কখন কাহারে বসান উচ্চাসনে, দেন সম্মান
  জানেন শুধু জগন্নাথ।