আলোকময় জগৎ হতে এসেছি আমরা কোটি বৎসর
পূর্বে এই ধূসর সান্ধ্য পৃথিবীতে।
এখানে আছি ডায়নোসরের বিলুপ্তির পর
অতৃপ্তি আত্মা নিয়ে যুগের পর যুগ
বহু বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের মুহুর্তে এসেছি।
মৃত্তিকা অভ্যন্তরে অদৃশ্য প্রায় কত সম্রাট সম্রাজ্ঞীর
সুরম্য প্রাসাদ -- শুধু অনাদরে কিছু পড়ে আছে ধ্বংসস্তুপ।
আলেকজান্ডার, অশোক, বখতিয়ার আজ তারা নেই
রয়ে গেছে তাহাদের কীর্তি।
এইখানে আমাদের তৃতীয় বাসস্থান -
সাগরের তীরে, সুউচ্চ পর্বত শিখরে, মরুভূমিতে নিশীথবেলা
গড়েছি তাঁবু, গহীন অরণ্যে ও আমাদের বাস--
আমরা যুগান্তর এখানেই থাকি থাকি ভূ গোলকে
একাত্মভাবে মিশে আছি মৃত্তিকার সাথে - যদিও এখন
পাথরের সরণী, বিজ্ঞানের যুগ তবুও......
পৃথিবীর সমস্ত কর্ম অসম্পূর্ণ রেখেই আমাদের যেতে হবে
আরেক জগতে ; সেখানে অগ্নি গর্ত অথবা উদ্যান
মানুষের জন্য অপেক্ষমাণ যুগের পরে যুগ।
ঐখানে রব যুগ-যুগান্তর, সেখানো সূর্যের আলো নেই
আপন মানুষের হতে কল্পনাতীত আলোকবর্ষ দূরে আরো
বহুদূরে রব নিঃসঙ্গ তবুও কাহারো পাবো না দেখা।
তারপর হঠাৎ আমরা কোনো এক বিকট শব্দে পুনঃ জীবন
নিয়ে উঠে দাঁড়াবো --ময়দানের দিকে ছুটে যাবে আদমসন্তান
তপ্ত রৌদ্রের মাঝে উলঙ্গ নর-নারী রবে হাজার বছর
ভয়ার্ত হৃদয় নিয়ে মহাহাকিমের সম্মুখে।
আমাদের ভয় নেই --
আত্মসমর্পণকারী মহাউল্লাসে রবে অনন্তকাল
মৃত্যুহীন চারু উদ্যানে ; তবে তারা নয় যাহারা
অন্ধ, মূক, বধির স্রষ্টাতে করেনি আত্মসমর্পণ
এইহলো আমাদের চিরস্থায়ী বাসস্থান।