যেখানে মানুষের আহাজারিতে
জন্মায় নগ্ন উল্লাস,
যেখানে ক্ষণস্থায়ী ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষায়
ক্ষণে ক্ষণে হয় নরমেধোৎসব,
সে স্থান মানুষের নয়।
যেখানে মানুষ পোড়ানো গন্ধে ভেসে আসে
তৃপ্তির সুবাস,
যেখানে আর্তচিৎকার আনন্দের খোরাক;
সে ভূমি মানুষের নয়।
যেখানে হাসির চেয়ে হুংকার বেশি দামি,
কাব্যের চেয়ে ঘৃণার মূ্ল্য বেশি,
কলমের কালি নিষেধের কারাগারের অন্তহীন বন্দিনী,
সে কোন সমাজই নয়।
নরক আজ পৃথিবী সম্মুখে নতশির
এই পৃথিবী যেকোন নরকের চেয়েও বীভৎস ভয়ংকর,
কী ভেবেছিলে? পৃথিবী এগিয়ে যাবে
মহাসমুদ্রের দুরন্ত হাঙরের মতঃ
মনুষ্যত্বের জয়গানে মাতবে
একবিংশ শতাব্দীর নতুন বসুন্ধরা।
কিন্তু আজ দেখছ এক অন্য চিত্র,
পৃথিবী আজ সম্পূর্ণ উল্টোপথে,
হায়েনার হাতে আজ রথের লাগাম,
পৃথিবী ফিরে চলেছে অন্ধকারের দিকে।
না, তুমি একদম এসব দেখে একদম অবাক হবে না।
এখন তোমার সাবধান হবার সময়,
অবাক নয়, সাবধান হও।
প্রযুক্তি নামক হাতের পুতুল
আজ হতে চলেছে মহাদানব,
দূর থেকে দূরান্তে, শুধু একটি আঙ্গুলের চাপেই
ঘনিয়ে আসতে পারে মহাপ্রলয়,
ক্ষুধার্তের চিৎকার হারিয়ে যায় অস্ত্রের হুংকারে।
না, একদম অবাক হবে না এসব দেখে।
সাবধান হও।
আবারো বলছি, অবাক নয়, সাবধান হও।
তুচ্ছাতিতুচ্ছ বিষয় নিয়ে
এখনো রক্তগঙ্গা বয়,
ঠিক যেমন বইত প্রাগৈতিহাসিক যুগে,
এখনো মানুষের মধ্যে সেই চিরায়ত হিংস্রতা
জেগে আছে সান্ধ্য শার্দূলের মত,
খবরদার, একদম অবাক হবে না তুমি,
সাবধান হও, খুব সাবধান।
বারে বারে বলছি
অবাক নয়, এখন সাবধান হওয়ার সময়।
ট্রয়, কুরুক্ষেত্র, দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে
নিঃশেষ হয়নি,
আবার তারা ফিরে আসবে
আরো ভয়ংকর বিধ্বংসী বেশে,
মানব রক্তের নেশায় এখনো
দিনে দিনে উন্মাদ হচ্ছে পৃথিবী,
তাই সময়টা অবাক হবার নয়,
সাবধান হওয়ার।