।। নারীর সম্মান ।।
# সৈকত জানা #
শুনেছো .......
আজ ওই প্রফেসরপাড়াতে নাকি
এক ধর্ষিতার বিয়ে.......?
শুনলাম, ব্রাহ্মণও নাকি
মন্ত্র দানে মানা করেছে.....?
শুধু ভাগ্যহীন বাবা- মা আর
বছর পঁয়ষট্টির এক বার্ধক্যে যৌবনভরা বর ছাড়া আর কেউ পাশে নেই।
এ ধর্ষিতা আবার ওই বরের
প্রথম নয় দ্বিতীয় নয়... একেবারে
পঞ্চমতম সুভাগী স্ত্রী......!!
আবার যৌতুক হিসেবে বরপক্ষের
দাবি একটি মোটরবাইকের ।
শুনেতো কণ্যাদায়ীর মাথায় হাত।
একে তো মেয়ে ধর্ষিতা,
দ্বিতীয়ত এত অর্থের অঙ্ক......
কার কাছে ভিক্ষে চাইবে...
এই কলঙ্কিনী মুখে .......?
আর ওদিকে বিনয়ী ধর্ষক তো
সাঙ্গ-পাঙ্গ নিয়ে দিব্বি ঘুরে বেড়াচ্ছে ।
আবার ওর বিয়ের জন্য
মেয়েও দেখা হচ্ছে ।
হয়... হয় ....এসব আমাদের দেশে
বিখ্যাত আইনের পাতাতে সবই হয়..!!
মেয়েটি আজ একা।
কেউ একবারও এগিয়ে আসেনি
নিজস্বার্থ বিসর্জন দিয়ে...!
কেউ একবারও প্রতিবাদ করেনি
মেয়েটির হয়ে ..... .!
ওই কর্তব্যের মধ্যে শুধু -
কে, কিভাবে ঘটল তার সংবাদ সংগ্রহ করা আর সমাজের নানাস্থানে পরচর্চা করা।
ব্যাস!.... এইটুকু।
সাহায্যের হাত চাইলে
যা করবে আইন করবে এই বাহানায়
পিছপা হয়।
দ্বিতীয় বারে আর পাত্তাই দেয় না।
এই তো আমাদের মানসিকতার বিবর্তন।
আজ নারী সমাজ অবহেলিত, লজ্জিত, শাসিত এই কালো
মানসিকতার পুরুষদের কাছে।
শুধু এই মেয়েটি কেন
সমস্ত নারী কুলটাই ধর্ষিত আজ
এই নবরুপী নিচু সংস্কৃতির কয়েক জীবদের মনের গভীর অন্ধকার রাজ্যে।
এই তো সবে ক্রমাপতন।
আইনের চোখে অন্ধ হয়ে,
এ নব সমাজ ছেয়ে যাবে
মরণাপন্ন যৌবন রোগে ।
ধ্বংস হবে শিক্ষা সমাজ।
হারিয়ে যাবে নবজাতকের হাসি,
জন্মদাত্রী মায়ের কোল হতে।
তাই এসো সবে একত্রে।
নিজ মানসিকতার করো পরিবর্তন।
সমর্পণ করো চরম প্রতিবাদী অস্ত্রে ।
বাঁচাও এ নারীকুলকে।
বাঁচাও এ মাতৃজাতিকে।
আজ থেকে হোক শুরু
আমার, তোমার, সবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।
জন্মাক প্রতিবাদীর বীজ,
প্রতিটি ভারতবাসীর রক্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে
হৃৎপিন্ডের কোনায় কোনায়।
এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস....!!
- - A - -