।। আজ প্রথম আমি ‘ একা ' ।।

আজ প্রথম নিজেকে কেমন
    একা মনে হল...!
কারণ আমি অসুস্থ আজ।
    মার কাছ থেকে অনেক দুরে....
অজানা অনেক শহর পারে ।
    আমি একা....... !

কেমন যেন মনে হল ।
    আজ কাছে যদি মা থাকতো,
এই সামান্য তুচ্ছ অসুস্থতাকে
    একটুও ভয় করতাম না ।
কাছে যে মা নেই ।
    তাই ভয় জাগে এ মনে....!

চাইলেও নিমেষে পৌঁছতে -
    পারবো না মায়ের আঁচল কোনে।
বাড়ির বাইরেটা যে -
    বড় অজানা, অচেনা...... ।
এখানে আপন বলতে -
   পরনে নিজ পরিধান আর -
গুটি কয়েক বইপত্র ।
    কিন্তু তারা যে প্রানহীন।
আমি বাঁচলে ওরা যে বাঁচে...!

    কিন্তু মা...........?
মা যে সর্বদা আপন।
    আমার কষ্টেও আপন,
আমার দুরের হাসিতেও আপন।
    মা........ !
আমি যে বাড়ি ফিরতে চাই !
    আমি তোমার কাছে থাকতে চাই !
বড় একা লাগে আজ......!
    ভয় করে....!

কিন্তু আর একদিন বাদে যে
     আমার পরীক্ষা..... বড় দায়িত্ব....!
কিভাবে কাটাবো আর
     পনেরোটি রাত ......?
এতদিন কাটিয়ে এলাম একাকি।
     কিন্তু এই প্রথম অসুখে যে
বড় একা লাগে আজ........!

     সকালে বাবা ফোন করছিল।
ভয়ে কিছু বলিনি  —
     পরে তোমাকে জানাবো বলে !
কখন যে ফোন করবো .....
      বড় অস্থির হয়েছিলাম ।
ভাবলাম, আজ স্নান করবো কিনা
     তোমাকে ফোনে জিজ্ঞেস করি।
কিন্তু বহু চেষ্টা করেও —
     তোমাকে পেলাম না  মা.......!
মনে হতাশ আরও দ্বিগুণ হল।

     দুরু দুরু বুকে দেরি না করে
স্নানটা সেরে নিলাম ।
     ঘড়ির কাঁটা যে আমার অসুস্থ —
দেখে, থমকে যায় নি.....!
     না,... ধৈর্য আর সয় না....!
খেতে বসেই অস্থির মনে —
     ফোন করলাম বাবাকে।

বাবা কথা বলার পর
     ফোনটি কানে রেখে তোমাকে ডাকছিল ,
     কথা বলার জন্য.......
মনে তখন হতাশা, দুঃখ, বেদনা
     আরও পাঁচপা এগিয়ে এসেছিল
আমার দিকে !

     মা,..... তোমার কন্ঠ শুনে
কেমন যেন মনে হল নিজেকে।
    বড় একা লাগে, মা......!
জানি আমি, আমার কষ্টে
    স্থির থাকবে না তুমি ।
তবুও আমার কষ্টটা না বলে
   পারলাম না,....... মা  !
বড় একা লাগে মা.....!
           - - Æ - -
                                     একাকি মনে
                                         সৈকত