কবিতা কবির নই পাঠকের।
ঝর্ণা-নদীর জল সাগরের…
যত হোক কাদা-পানি, সে বুকে নেয় টানি,
কলংক-লাজ সব মাথা নুয়ে মানে!
যুগে-যুগে গর্জন রত সমানে!!
সে আজো অবিচল একি গর্জনে,
ঢেউ'এ ফুলে, উঠে দোলে,
মধু-সূর বানে..…
আজো সে একি হাসি- মাখা মুখে ভালবাসি…
আজো সেই জলরাশি হৃদয় টানে!!
স্বপ্নের ভেলা কতো- ধরে মহাকাল,
ভেসে বেড়ায়িছে আজো সন্ধ্যা-সকাল!
যে রীতি ভেঙ্গে বসে, সেই জলে ডুবে ভাসে,
স্বপ্নের পাল ঝড়ে করে ছাড়কার!
ভেলা খানি অতলেতে কালে হারা তার!
চেয়ে দেখ ঢেউ'এ আজো সেই সূরে বাজে,
যে সূর মহাকাল একি সাজায়েছে…
সেই সূর মহাকাল চির করে গছে,
যে সূর ভরে আছে সেই কারুকাজে!
তাই বলি, সূর-কলি-
জল-ছল ঢেউ'এ ফুলি-
(ঝর্ণার রুম-ঝুম)
(নদীর কলতান)
যদি সেজে উঠে কব্যে একি সূরে নব প্রাণ!
তবে হবে চীর জয়, কবি আর কবিতার!
কবিতা কবির নই পাঠকের।
ঝর্ণা-নদীর জল সাগরের…
না হোক এ প্রেমের অবসান!!
[ যে উদ্দেশ্য নিয়ে কবিতাঃ যে স্বপ্ন দেখতে জানে সে একি সূর্য্যে প্রতিদিন নতুন ভোর সাজায়। প্রত্যেক বিষয়ের একটা নিজস্ব নিয়ম আছে, কবিতার ও তাই! ভাষা, শব্দ, ভাব, কারুকাজ, চরন, গাঁথুনী, রং, ইত্যাদি-ইত্যাদি।
যেমন- ''সাকিব- ডিনার কি দিয়ে করলে?? কবিতা- মরিচের চাটনী, ডাল! সাকিব- ওরে বাবা মরিচ চাটনী! খেতে পারো?? ঝাল!!''
এ লাইন গুলো কে নিছে সাজালাম দেখেন-
''সাকিব- ডিনার কি দিয়ে করলে??
কবিতা- মরিচের চাটনী, ডাল!
সাকিব- ওরে বাবা মরিচ চাটনী!
খেতে পারো?? ঝাল!!''
আরেকটু দেখেন-
''প্রিয়োতমা, তোমায় অনেক ভালবাসি! বার বার বলতে গিয়েও থেমে গিয়েছি, ভাললাগা ভেবে! আজ তোমাকে অন্যের হাত ধরে চলতে দেখ যখন বুকের পাঁজর ভেঙ্গে গুড়ে যায়, বুঝতে পারি। সত্যি'ই তোমাকে কত ভালবাসি!''
এ কথা গুলো চরন সাজালে হয়ঃ
''প্রিয়োতমা, তোমায় অনেক ভালবাসি!
বার বার বলতে গিয়েও থেমে গিয়েছি,
ভাললাগা ভেবে!
আজ তোমাকে অন্যের হাত ধরে চলতে দেখ
যখন, বুকের পাঁজর ভেঙ্গে গুড়ে যায়,
বুঝতে পারি। সত্যি'ই তোমাকে কত ভালবাসি!''
১ম উদাহরনে ছন্দ আছে (?) ২য় উদাহরনে কথা (?) এবার কবিতা নির্বাচনের ভার পাঠকের!!
আমিও একজন পাঠক আর সাহিত্য অঙ্গনে কবিতার ছাত্র। আমি এখানে শিখতে এসেছি। সুতরাং, আমি চাইব আমার সফলতা অর্জনের স্বপ্নে সবাই বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিবেন।
প্রত্যেক কবির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইল…
আজ আমার স্বপ্ন পুরুষ প্রিয়ো কবি কাজ্বী নাজরুল ইসলাম এর ৩৭তম প্রয়াণ দিবস। অনেক শ্রদ্ধা আর অশেষ ভালবাসায় তাঁকে সরণ করছি.…