আর ফিরে এসোনা-
তোমাদের একটি স্বর্গোদ্যান দেয়া হয়েছিল।
তা নৈরাজ্যের ম্যাগাসিটি বানালে সবাই মিলে
নেমকহারামেরা, ভুলেও ক্ষমা চাইতো এসোনা।
যেখানে উন্নতি দেখিয়েছ সেখানেই লুটেপুটে নিলে।
আমরা হীরে ভেবেছিলাম তোমাদের,
কিন্তু তোমার কাঁচের গয়না ছিলে। তোমাদের সেবা
চাওয়াও অত্যাচারে চেয়ে কম না।
শিক্ষিতরা। এখন বড় ভয়ংকর, বড় বেয়াদপ!
ওয়েল ট্রেইন্ড হিপোক্রেটস, বড় বাটপার সব!
তাদের কলমের খোঁচাই ক্ষতবিক্ষত মনুষত্বের রচনা।
কতো অধপতনের জেরে টাকায় শিরোনাম হয়?
পাবলিক সার্ভ্যান্ট পুলিশ জনগনের স্যার হয়!
ঘুষ ছাড়া এখন আর কোন সরকারি ফাইল নড়ে না।
বড় বড় স্লোগানে যারা মানুষের সেবাই মূল লক্ষ্য
বলে বেড়িয়েছিল, করোনায় তাদের দরবারে তালা।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া জানোয়ার গুলো সব
সরকারী দলের কেউ বা ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা চ্যালা।
করোনায় লুট হয় সরকারি ত্রাণ ও দেশ!! শয়তানও
আতংকে শয়তানী লুটের ভয়ে এদের পাশে ভিড়েনা।
দেশ তো এগোতে চাই-
কৃষকেরা দিনরাত মাঠে খাটে, প্রবাসে প্রিয় মূর্খরা
সব দিনরাত খেটে যায়। রেমিটেন্সের জোয়ারে
অক্সিজেন পাওয়া অর্থনীতির বাজারে-
তবুও কোরবানি গরুর চামড়া চেবাকেনা হয়না!
যে দেশে একটি চামড়ার চটি দুসংখ্যার হাজারে
ব্রেন্ডিং হয়, কাঁচা চামড়ায় এদের চরিত্র বুঝি পঁচেনা?
প্রার্থনা, জাতিটা আবার মূর্খ হয়ে পড়ুক-
এ অভিশাপ নয় আশীর্বাদ।
মুচি বেড়ে গেলে আবার চামড়ার কদর বাড়বে
নিশ্চই, গুছে যাবে মনুষত্ব পঁচনের অপবাদ।
বিবেক গুলো সবুজের ছায়ায় বর্ণমালা জন্ম দিক
নতুন করে, পবিত্রতম হোক সকল রচনা।
যেন মন্দ কে মন্দ বলতে মন ভয় না করে-
স্বাধিনতা ফিরে পাক আবার সত্যান্বেষী চেতনা।