এই যে আমি নিঃস্থব্দ্ধ হলাম-
তার কোন প্রয়োজন ছিলনা।
আচ্ছা, আমি বললেও শোনত কে?
কেউ শুনতনা, কেউ শোনেনিও।

অতীতে যতবার পূর্বদ্বারে একা বসে
নিজেকে নিয়ে ভাবতে বসেছি নির্জনে।
কতো শতবার স্বপ্নপ্রিয়ায় মগ্ন হয়ে পড়েছি-
আনমনে কত কবিতায় তাকে চেয়েছি।
আজও মিলেনি সে স্বপ্ন প্রিয়ার দেখা।

এমনি আরেক বসন্ত পার করে নববর্ষের
প্রথম সন্ধ্যায় অনেক বছর পর আবার ফিরে এসেছি-
আসলে ফিরিয়ে এনেছে করোনা, একাকিত্বের সে
একাকী আকাশের নিঃস্থব্দ্ধতায়।
এমন সন্ধ্যা বারবার ফিরে আসুক অনেক করে চাই।
তবে এমন করে ফিরুক কখনো চাইনি, চাইনা।

এই ফিরে আসায় মনে কতো সংশয়, কতো ভয়
প্রিয় হারানোর, মৃত্যুর মিছিল বেড়েয় চলছে ধীরলয়।
পৃথিবীর বিত্তবান নগরি গুলো এখন মৃত্যুপুরী।
প্রতিদিন জেগে থাকা স্বপ্নে সে শহর গুলো ছিল
আমার গন্তব্য। খুব করে মনে-প্রাণে চাইতাম-
একদিন ঐ শহর গুলোর কোন একটিতে বাঁচব।

সে স্বপ্নরাজ্য গুলোই এমন বিভীষিকা করোনার-
দুঃস্বপ্ন বলে এড়িয়ে যেতে দেখি আমিও এ স্বপ্নের
বাইরে নই। এই গ্রহে এখন কোন মানুষই নিরাপদ নয়।
তবে পৃথিবী বেশ ভাল আছে, মানুষের যান্ত্রিক স্বর্গের
স্বপ্নময় যে জগৎ তৈরিতে প্রকৃতিকে বুড়ো আঙ্গুল
দেখাল, সে প্রকৃতি যেন শোধ নিতে ব্যস্ত আজ!
মানুষের বিনাকারণে অক্সিজেনের আকাল পড়েছে।
আসলে মানুষ কি বুঝতে পারছে শ্বাস নেয়া কত
জরুরী বেঁচে থাকতে? আমি এখন নিশ্চিন্তে প্রকৃতির
কোলে বসে শ্বাস নিচ্ছি, আর ফিরে যেতে চাইছি-
সে সব ফেলে আসা দিন গুলোতে। না পারছিনা।।

জানি প্রকৃতি ভালবাসা ফিরিয়ে দেবে, আবার যারা
বেঁচে থাকবে, স্বপ্ন দেখবে, হয়তো আমিও দেখব।
হয়তো আবারো কোন এক সময় ফিরে আসব এই
প্রকৃতির কোলে, এই নির্জন একাকিত্বের সন্ধ্যায়।
তখন হয়তো হিসেবে বসবো কে আছে কে চলে গেল।
মানুষ কি সাবধান হয়েছে? এখনো কি বুঝেছে?
তখনো কেউ শোনেনি, মনে হয়-
এখনো কেউ শোনবে আমাকে?

#ঘরে_থাকুন
#বেঁচে_থাকুন
#আল্লাহ্_সহায়

পূর্বদ্বার, নিজগ্রাম
ফটিকছড়ি- ১৪.০৪.২০২০
০১.০১.১৪২৭ বঙ্গাব্দ