দায়ভার যত কপালের লিখন পূণ্যের লোভে পাপ-
রক্তের সাথে মিশে গেছে কত অভিযোগ-অভিশাপ।
রোজকার মত মেনে নিয়ে চলি মুক্তি মেলল কই?
যা অপরাধ দায় মেঠানোর। রোজ লড়ি, জিতি কই?
জীবন যজ্ঞ যতদূর হলো পূণ্য লালসা সার!
ভালো ছেলে আমি খুব সংসারি মিথ্যে অহংকার!!

যত দূর স্মৃতি-বিস্মৃতি হতে মনে পড়ে সংগ্রাম-
কত কাঁটাপথ হেঁটে পেরিয়েছি কিছু অর্থের নাম!
ঘাম ঝরা গায়ে যতবার ফিরে এসেছি শান্তি নীড়ে-
পরিবার রোজ দেখায় জীবন হেরেই ফিরেছি তীরে!
তরী ডুবে গেলে ভালো হত বুঝি পাপ-পূণ্যের শাপ।
দায়ভার যত কপালের লিখন পূণ্যের লোভে পাপ!

মধ্যবিত্তের জোয়াল কাঁধে যত ভার তত দায়!
ঋণ রোজকার বেড়েই চলেছে সঞ্চয়ে গোল্লা-ই!
তবুও আমার অপচয় সব প্রচেষ্টা-সংগ্রাম।
অর্জনে শুধু হাহাকার-হার,  না নাম- বদনাম! ওরা-
ভালোবাসে বলে ভালো নই তবু, বদরাগী অপবাদ?
আমারো কেমন লোলুপ মনের তাদের ছায়ায় ছাদ!
তবুও-
দিন শেষে সব মেনে নেয়া হবে নতশির সাধনায়-
সুখ মানে বুঝি সঞ্চয় নয় খরচ যোগানো চাই!
যত সংগ্রাম সব জীবনের প্রতিষ্ঠা আহলাদ!
আমি লড়ে গেছি জুড়ে রাখতে, সব ভেঙ্গেই মিঠেছে স্বাদ!

আমার যা কিছু অর্জন সব পাপ-শাপ পূণ্যের..
হিসেবের জের শূণ্যই হয় সংকেত বিপদের-
আর যারা আজ দাঁড়িয়ে গেছে তাদের নিজস্ব অর্জন!
আমি যেন এক প্রতিমা মুর্তি যার পূণ্যে বিসর্জন!
তাদেরও ঋণ বেড়েগেছে শুনি তারায় দিয়েছে কাঁধ!
জুড়ে রাখা সে পূণ্যে লোভে, আমার ভেঙ্গেই মিঠেছে স্বাদ!

যতটুকুই বা সাধ্য করেছি যথার্থ নয় কিছু-
যতবার পা হড়কে পড়েছি কারো যায়-আসেনি কিছু!
ভুল ভেঙ্গে বসে কবে?
চুরি আমি যাদের জন্য করেছি তারা চোর বলে যবে!
আজ ত্যক্ত-বিরক্তির সংযমে টুটে গিয়েছে বাঁধ!
রক্তের সাথে মিশে গেছে শত অভিযোগ-অভিশাপ।