একটা ফেসবুক রিকুয়েস্টে চাওয়াটা সীমাবদ্ধ ছিল।
তোমার কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়া যে বারণ।
বারণ বলতে অদৃশ্য একটা প্রতিবন্ধকতা অাছে।
সত্যি বলতে সে পুরনো সংস্কৃতি বা মন মানসিকতা
কাজ করে ভেতর ভেতর। করাটায় সাভাবিক।
আসলে ওসব ব্যাধি আজকাল আরো মর্ডান হয়েছে
এই যেমন, ডিএসএলআর দিয়ে ছবি তুলা মানুষ-
গুলোর দিকে সস্তা দামের ফোনে ছবি তুলা লোকের
হাত বাড়ানো বামুনের চাঁদ ছোঁয়া বিলাসীতার সমান!
ইন্সটা-টুইটার ব্যবহৃত দামি মুখ গুলো ফেসবুক-
লাইকি ব্যবহারকারীদের মাঝেও অদৃশ্য ব্যবধান।
যত কাছে আনার প্রচেষ্টায় বিপ্লব হয়েছে ততটা
ভাগে ভেঙ্গে ভেঙ্গে ভাগ হয়ে পড়েছে সমাজ!

সামাজিক সৌজন্যতায় ব্যবধান কমবে ভাবা
মানুষ গুলো যখন শিক্ষিত সমাজ নিয়ে আশায় বুক
বাঁধল। শিক্ষিত সমাজ এসে আরেকটি ব্যবধান
তৈরি করল। শিক্ষিতরা সমাজের প্রথম সাঁড়ির
মর্যাদা দাবি করে নিরক্ষর আর অনেক সহজ
সরল মানুষ গুলোকে মূর্খ উপাধি দিয়ে বসল!
মানুষ সার্বভৌমত্ব দাবি করে নিজের কাঁটাতারে বন্দি
করে শান্তুির খোঁজে যুদ্ধ বাঁধিয়ে বসল!

আমিও আর অহেতুক এসব ব্যবধান গুছতে কোন
বিপ্লবের সূচনা চায়না। না তোমার স্বপ্নে নতুন কোন
প্রেম উপখ্যান রচব বলেও কলমে হাতে নিইনা।
না এটা কোন প্রেমের কবিতাও ছিলনা।
সীমাবদ্ধতায় আটকে পড়া স্বাধীনতায়,
মুক্তি কামনায় নিজের জগত নিজে মত তৈরি
করে নতুন বিশ্ব গড়বার মত সৌখিন কোন হৃদয়
তোমাকে উৎসর্গ করবো বলে হাত বাড়াতে যায়না।

অথচ, ওরা মনে করে আমারো বিপ্লবী অথবা
প্রেমিক হওয়া দরকার অমরত্ব পেতে বা
ভালবাসায় হৃদয় জয় করতে! কিন্তু আমিও
আরেকটি ব্যবধান গুছাতে আবার ব্যবধান তৈরি
করতে চাইনা। তাই আর ব্যবধান গুছতে যায়না।

ফেনী-০৬.০৮.২০২০