অমন অঝোরে কেঁদোনা গো প্রিয়
শেষে বদনাম না হয় আমারো ৷
তুমি তো আর হেমা মালিনী নয়
যে কাঁদলেও, সখিগো, তোমাকে সুন্দরী সবে কয় ৷
তুমি তো আমারই প্রিয় পর্জন্য, বড়ই অভিমানী-
তুমি কাঁদলেই জোয়ার আসে শুকনো খরা বনে,
মরা নদীর ঘাটে ভেজা শরীরে নববধূর আঁচল খানি
স্নান শেষে বাড়ি ফিরে আনি ৷
তুমি কাঁদলেই সুপারি ফুল ফোটে বিবর্ণ বাগানে ৷
তুলতুলে মেঘের মতো ছিঁচকাঁদুনি তুমি!
দেখছো না ? শহরগুলোও ডুবে যাচ্ছে,
ডুবছে গ্রাম-নদী-প্রান্তর,
ডুবছে বসত বাড়ি ঘর,
গাছগুলো যে সারি সারি ডুবছে সবই- আলো আর আঁধার,
লাঙ্গল ফেলে লঙ্গরে যাচ্ছে তাবেদার দিমেতার
আর কতো শতো ভুবুক্ষু অবতার ।
কতজনে বলে, নুহের বানে ভেসে তুমি অকালে
হাথর হয়ে জন্মেছ মৃত বৃক্ষের বাকলে৷
মনে মনে ভাবি, আমিতো ভাই কবি, মনস্মরে আঁকি ছবি -
তাই বৃষ্টির গায়ে জল মেখে ঝুমঝুম তুমি ঝরো
টাপুরটুপুর কবির গানে পাখনা মেলে উড়ো;
ভেজা কান্নার আতব চালে শুকনো গাছের ডালে ডালে
শূন্য সিক্ত সমীরণে আমায় তুমি ডাক কোন্ আড়ালে ।