আমি যুবরাজ, প্রেমিক-পুরুষ, বুকের কোণে লুকিয়ে
এনেছি প্যান্ডোরা বক্স  
তাতে তেমন কিছু নেই, আছে কিছু করোনা  
যদি নিতে চাও তবে কাছে এসো না, কিছুটা
দুরেই থাকো- এক মিটার দূরে,  
খুব বেশি দূর নয়, তবুও মনে হয় ভালবাসার জন্য
দূরত্বটা অনেক বেশি, কেননা
ভালবাসা দিন দিন হয়ে যাচ্ছে যান্ত্রিক, হৃদয়ের বন্দরে চলছে লকডাউন,
-উড়ন্ত চিলের ছায়ায় বন্দী প্রমিথিউস।

গ্লাভসটা পরে নাও, এবার হাত বাঁড়াও-
আমিও বাড়িয়ে দিচ্ছি করোনা ভরা আমার হাত,
বাড়িয়ে দিচ্ছি এই হাত সাগর মহাসাগরে, দিক থেকে দিগন্তে,
দেশ থেকে মহাদেশে, ভূমি থেকে অন্তরীক্ষে, ইহলোক থেকে পরলোকে—
তবুও কি তুমি পাচ্ছোনা আমার অমৃত হাতের ছোঁয়া!
এক মিটার দূরত্ব নিয়েছে কেড়ে আমাদের ভালবাসা
অন্ধকার মৃত্যু অপরিমেয় দূরত্বে মরে যাচ্ছে
আমাদের ভালবাসা, পরছে আকাশ থেকে ঝরে শাদা পায়রার চকচকে
নরোম পালক-
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের নিষিক্ত শীতল পরশ

  
লক্ষ্মীটি, মাস্কটা পরে নেও, এবার মুখটা সামনে বাড়িয়ে দাও
আমার দিকে, আমি যমদূতের মতো আজম্ম তৃষিত  
অ্যাডোনিস, তোমার আরক্ত অধর ছোঁয়ে বিশ্বের ইতিহাসে
লিখে যাবো সেলিনির প্রেমপুরাণ,
আমিতো পাচ্ছিনা তোমার অধরের চিহ্ন, তবে কি
চিত্রিত ধরাতল ভীষণ ভিন্ন!


কিন্তু আমি তো প্রচণ্ড ক্ষ্যাপা মহাদেবের মতো তোমাকে
দিতে চাই শুধুই একান্নটি চুম্বন-
তারপর একে একে শিশু-বৃদ্ধ-আবাল-বণিতা সকলের মাঝে
ছড়িয়ে দিবো কামাখ্যার আরক্ত জল,
আমার প্রিয় হলাহল।  
তবুও তুমি পাচ্ছোনা আমার অমৃত অধরের স্বাদ,
এক মিটার দূরত্ব-কেড়ে নিয়েছে আমাদের আজন্ম ভালবাসা-

আমি যুবরাজ, প্রেমিক-পুরুষ, বুকের কোণে লুকিয়ে
এনেছি প্যান্ডোরা বক্সঃ
আমার করোনা ভরা নিঃশ্বাস ফেরি করবো হাটে বাজারে নগরে
বন্দরে-
আমাকে সঙ্গ দিবে কিউপিড সাইকি মহাদেব বিষ্ণু আর মদন
আমি তখন শুনবো না কিন্তু কারও ক্রন্দন
আমি তখন নিমিষে লুসিফারের মতো পৃথিবী করবো প্রদক্ষিণ
কোটি কোটি মানব সন্তানের মাঝে বিনা মূল্যে বিলিয়ে দিবো
মাল্টিকালার করোনা
-আমার কাছে মাল্টিকালার করোনা আছে
আমি হামিলিওনের বাঁশিওয়ালা, বাজাবো আজব বাঁশিঃ  
পঙ্গপালের মতো ঘর থেকে বেরিয়ে আসবে অগণিত মানুষ

দোহাই প্রিয়তমা, তুমি কিন্তু দাঁড়িয়ে থেকো এক মিটার দূরে
হাতে পরে নিও গ্লাভস, মুখে পরে নিও মাস্ক
আমি যদিও পাইনি তোমার অধরে চিহ্ন,
জানিতো প্রেক্ষাপট ভীষণ ভিন্ন!