তোমার চোখে দিকে তাকাতে পারিনা-
কদম পাতার মতো সিক্ত দুটি চোখ;
সদ্য সৃষ্ট ঝরনার মতো ছলছল করে ।
অনাবৃষ্টির আকালে শুকিয়ে গেছে তোমার ললাট রেখা ।
চোখের পাপড়িগুলো বেতের পাতার মতো
কাঁপে মৃদু বাতাসে,
ধূসর বালিকা বর্ণের চোখ দুটো মেলে দেয় ইতিহাসের পাতা ।
আমি ওই চোখে তাকাতে পারিনা-
কোনো এক অপার্থিব শিহরণ বোধ জেগে ওঠে
আমার মলাট লাগানো মনে-
আমি উন্মাদের মতো পৃথিবীর পর পৃথিবী পাল্টাই,
গিরিচূড়া থেকে উপত্যকায় কেটে যায় অজস্র কাল...
দূরে দাঁড়িয়ে থাকে জলকুন্তলে ঢাকা মোহনা,
মনের মুনি খোঁজে পায় তুমি গিরিপ্রিয়া ।
আমি ভেসে যাই মহুয়া বনে-
প্রাচীন পৃথিবীতে খুঁজি ঈশ্বরের প্রথম পদচিহ্ন,
তোমার চিবুক কাঁপতে থাকে করাতের শব্দের মতো,
খোলা চুল বাতাসে উড়ে ভালবাসার দুর্ভিক্ষেঃ
তোমার ছলছল চোখে আমি তাকাতে পারিনা,
আমি সইতে পারি না-
তোমার বোবা কান্না দেখার আগেই
আমি যেন মরে যাই, অকালেই ।