ঘরেই তো ছিলে আরামে বালিশে মাথা, বের হলে
আর তো ফিরলে না সুন্দরী পাখি- বিপন্ন সময়,
নক্ষত্র আছড়ে মাটিতে পতন
দীঘল কাহিনীঃ

খাঁচাতে রাখিনি ভরে কোন দিন, ইচ্ছাটা পালায়,
সুযোগ খুঁজতে খুঁজতে ভণিতা অভিনব ছিল-
পাথর ভোজনে অভ্যস্ত জীবন
আমিতো দেখিনি

আগে কোন দিন, হয়তোবা চোখ ছিল অন্ধ দীপে
আগুনের তাপে খরা ছিল মন, বোধেরা বধির
একান্ত একাকী জীবন ভাবিনি
একা তুমি ছিলে

আমার যাপিত জীবনে সুন্দরী পাখি, সুখ ছিল
ক্ষেতের সোনালি ধানের হৃদয়, মলয়ে মাতাল
রাজকীয় বেশ কিছুটা আবেশ
এখনো অবশ

করে ভৃত্য মন জানিনা কখন একা হয়ে গেছি,
অন্ধেরা যেমন সমুদ্র সিনানে খুঁজে নোনা স্বাদ
আমিও এখন তন্দ্রার পালকে
কাটাই বিপন্ন

রাত, দলে দলে ক্ষুদ্র পোকা ছুটে পৃথিবীময়,
আমরা পালিয়ে পালিয়ে লুকিয়ে আছি ঘর কোণে,
নির্বাসিত স্বেচ্ছায় বন্দী জীবন-
বুভুক্ষু কঙ্কাল-


কতোটা সঙ্গীন ভাবতে পারবে সবুজ বনানী
দারিদ্র্য পীড়িত সঙ্গম সঞ্চয় ফুরিয়ে আসছে  
দিনের ভিতর রাত্রির গমন,
সুন্দরী পাখির

ক্রন্দন, নিয়তি চিহ্নিত নিষ্ঠুর রেখা ডাকে দূর
থেকে, আমি প্রাচীন পৃথিবী বুকে নিয়ে বেঁচে থাকি
তোমার প্রতীক্ষায়, গন্ধগোকুল
ভীষণ সতর্কঃ

তোমাকে হারিয়ে আশায় বেঁধেছি নিষিক্ত জীবন,
মৃত্তিকার ঘ্রাণে নাভি গ্রন্থি টানে করেছি স্মরণ
কিশোর দিনের জল ভরা আঁখি
মনচোরা পাখি ।