শঙ্কিত সমন নীরব বৈশ্বানরে জ্বলে-
কালের ধমনীতে নায়াগ্রার জলপ্রপাত,
আদিম সভ্যতার গালিচা তলে
গাঙ্ চিলের লাল টকটকে পালক;
রাত্রির গভীরে মহাকালের যাত্রা,
শ্মশানে সহস্র আত্মার অশনি হাহাকার
আর লাঞ্চিত ললনার অশুচি পদার্পন
সভ্যতার কালো পাথরে এঁকে দেয় পদচিহ্ন :
মৃত হৃৎপিণ্ডের চারদিকে ধ্বনিত হয় শতাব্দীর বারতা-
এখনও ধরিত্রীর অশেষ যন্ত্রণা
জ্বলন্ত ফড়িংয়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
আর কসাইয়ের ছুরির আঘাতে
সবুজ রক্তের বন্যায়
ভেসে ওঠে বুনোহাঁসের লাশ
অথবা ঝিঁঝিঁ পোকার দৈববাণীতে
জীবন্ত শহরের হাহাকার ।
--------------(২৩/৩/১৯৯৪)