আমি নন্দিনী, তবে সবাই ডাকে নন্দ, বয়স বারো কি তেরো,
তোমাদের পরিচিত কুমোর পাড়ার শুম্ভ কুমোরের মেয়ে;
আহা অমন করে মুখ ফিরিয়ে নিও না; নীচু জাতের ধেড়ো
মেয়ে- দেখো একঝাঁক আচমকা যামবতী দুঃখ যায় বেয়ে
আমার কুঞ্জকানন বুকে যন্ত্রণার মতো সলাজ শীতলে
অঙ্গারপুষ্প ঝরে পড়ে সন্তাপী সুখে অকর্ষণীয় অশ্রুজলে
সুখের দ্বীপদেশে কে যেন কান্তিমান সুরূপে আমায় ডাকে,
‘নন্দিনী’ ‘নন্দিনী’ বলে, তখন রক্তজবা ফুটে শোণিমা শাখেঃ
নবীন তৃণলতার শিহরণ আমাকে নিয়ে যায় সুদূরে,
অন্ধকারে- মুখ লুকাই জরাগ্রস্ত আতঙ্ক শাসিত দুপুরে,
অন্তঃপুরে শীর্ণ সুরে বাজে অঙ্কুরিত রমণীয় চিৎকার-
শুধু মনে আছে অসাড় বোবা কান্নার তীব্র এক হাহাকার
এই দ্বীপজাগা শরীরে- নির্জনে মৃত্যুরা আনে ঊষার বাণ
বয়স বারো কি তেরো আমি নন্দিনী- মনে জমছে অভিমান ।