সুলতানা, আবার যখন পৃথিবীর নিজস্ব বাষ্পজানে চড়ে
বসন্তের শেষ দিনে বাসন্তীর সাজে দাঁড়াবেন
বাংলোর সম্মুখে—
সবিতা'র আলোয় অঙ্কিত এক বিশুদ্ধ চুম্বন
আপনার কপোল ছোঁবে,
প্রহরীর দৃষ্টির আবডালে নিশ্চল পবন শুনাবে ফুলেদের কবিতা।
সুলতানা, আপনার ঠিকানা চাইতে ঘুষ নিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ;
প্রমাদ পূর্ণ আবাসে অজ্ঞাত চিরকুট রেখেছে ভাঙা ডানার গাংচিল।
অতিতপ্ত সবুজ আলোর মায়ায় আপনার রাঙা চিত্রের সন্ধান;
চোখের উপর ছানি— যে এসেছে আপনার ঘোলা হয়ে আসা চোখ হতে।
সুলতানা, আপনার ক্রন্দনের সুরে ধরার সর্বত্র বাজ ভেঙে পড়ে;
আপনার হাসির সাথে নামে ঘন বরষা, উল্লসিত হয় ফুল।
অবহেলা উপেক্ষা করে ক্ষয়ে গেছে হৃদয়—
গড়ায় রক্তিম বর্জ্য,
মাল্যের আশ্বাসে এই জনপদের রক্ত মাড়িয়ে আপনি আসবেন কবে?
সুলতানা, হেমন্তের সাঁঝে ধূসর রঙা চাদর জড়িয়ে— কালো টিপ;
শকট ছেড়ে নেমে পড়ুন সড়কে— যেই সড়ক পাখিদের দখলে।
ধীর পায়ে পাখিদের অনুসরণ করলে পাবেন এক ধ্বংসস্তূপ—
জীবনের সৎ সঞ্চয় বিষণ্ণতা যেথা চিরনিবৃত্তে শায়িত আছে।
সুলতানা, আপনার প্রতি আমার ইতস্তত রচিত দরখাস্ত;
পাখিদের দলে ভীড়ে একদিন এসে দেখে যান বেদনার ধ্বংসস্তূপ।