তার সন্ধান মিলবে কোথা—
মনের প্রাচীর ভেঙে যে
চুরি করেছে শীতলপাটি?
তার সাক্ষাৎ কি পাব—
কথার আঘাতে ছিড়েছে যে
হৃদয়সীমার তুলতুলে বন্ধনী?
রুক্ষ কেশরের মোহে বিহ্বল কায়া,
দেহ ঢলে পড়ে মৃত্যুর দুয়ারে—
হৃদয়টা রয়ে যায় তার শিথানে।
অন্তিমকালের মঞ্চে স্থবির গিরিকুমারি
অবহেলায় কুণ্ঠিত করে মুখখানা।
প্রাণবায়ু তার সমাপ্তির পথে হাঁটে,
এই বুঝি গেল প্রাণ— এই বুঝি প্রাণবিয়োগ।
অসঙ্গ হিমালয়কন্যার বেলা কাটে
বাতায়নের বাইরে অবিচ্ছিন্ন দৃষ্টিপাতে।
গরাদগুলো যেন তার প্রাণবঁধু,
ছাড়তে চায় না কাছে পেলে কভুও।
ইট ভাটার চিমনি হতে খানিক ঊর্ধে
লাল রংয়ের ধূম্র— ছাইয়ের সাথে
তাহলে কি ইট ভাটায় মাটির সাথে
মানুষ ও পুড়ে? নাকি দৃষ্টিভ্রম?
শরতের এক ভোরে উদিত হবে
নতুন এক স্নিগ্ধ-কোমল সূর্য,
পূর্ণকাম অবগাহনের শেষে
হলদে পাড়ের শাড়িতে পার্বতী
এসে দাঁড়াবে পরিচিত রোয়াকে।
কাঁধ ছাড়িয়ে আঁচল পৌঁছাবে ভূমিতে—
মাটির সাথে এক প্রগাধ টান তার।
সেদিন সিন্ধুক ছেড়ে বাইরে আসবে
আমার সেই চুরি হওয়া শীতলপাটি।