রুক্ষ চুলে পদচারণা করছে নবযৌবনা তরুণী—
সবুজ দেহ,
চোখ দু'টো লাল হয়েছে অবহেলায়,
কানের নিচে কাতরতার প্রলেপ,
দীপ্ত পদক্ষেপে এগোচ্ছে পায়া-যুগল।
মায়ার বন্ধনী ছেড়ে
শেকড় হারিয়েছে পত্তনে।
চক্ষুর 'পর পাথরের ইমারত,
নর্দমার পাশে গলে যাওয়া কীট—
চূর্ণিত নিগড়ের শাখায় বিঁধেছে ধড়,
নিস্তার পেয়ে মুণ্ডের সে কী ব্যগ্রতা!
হাঁটুপানিতে পা ডুবানো তরুণী—
পেরিয়েছে ভীতপ্রদ বিষাক্ত শলাকা।
কান্নার জোয়ারে সাঁতার কাটলে ও
ডুবে যায়নি সে; মরেনি কখনো।
হঠাৎ একদিন অগ্রগতির ন্যুব্জ ধারায়
নর্দমার বিষাক্ত জলে মিশে যায় তরুণী।
বুনো শেয়াল ঝাপিয়ে পড়ে তার উপর,
ছিড়ে খায় তরুণীর সবুজ দেহ।
ছিন্ন হওয়া কাপড়ের কৃপায়
রক্তজবার মত লালচে রক্ত
আবৃত করে সমগ্র দেহ।
নিথর দেহ পড়ে রয় নর্দমার ধারে,
মানুষরূপী শকুনের বদ নজর
খুঁটে খায় ধূসর হয়ে আসা দেহ।
গতপ্রাণ তরুণীর অবগাহনকালে
শকুনেরা আসে,
চোখে ছিটানো শুক্রাণু—
কাপুরুষের মত লুকিয়েছে সব।
শেয়ালের দল ও এসেছে সেথা,
ভয়ে কাঁপছে শকুনের চোখ।
এক দল যুদ্ধবাজ তরুণ—
যাদের দৃষ্টি আলোর পূর্বে চলে,
বিহঙ্গপাল তাদের সাথে মিলে
খুঁড়েছে কবর— চারপাশে রক্ত।
রক্তের রাজ্যে আসিত হয় তরুণী,
পাশে চলে শেয়াল-শকুনের দ্বন্দ্ব।