একাকী দীপ শিখা পুড়ে চলেছে ভীষণ,
চারপাশে আলো তার জ্বলছে ম্রিয়মাণ।
তবুও সে ডুবে আছে নিবিড় আলোহীনতায়।
যে পুড়ে নিভৃতে— তাকে পুড়ানোর সাধ্য
ধরার বুকে নেই কারোর।
পৃথিবীর মাঠ-ঘাট ছেড়ে একদিন
লুকাব গভীর অরণ্যে—
সখীহীন— পিছু ফেলে যত প্রণয়।
নির্জনতা মোর সহোদর—
একই মায়ের সন্তান মোরা।
তাইতো দিবারাত্রি পিছু ছুটি তার।
অদ্ভুত এই অরণ্যে বাস করে যারা
তাদের মগজ বেয়ে গড়ায় প্রজন্মের লালা;
তাদের অশ্রুজল চোখ দিয়ে নামে না—
তারা সমগ্র শরীর দিয়ে কাঁদে।
এইখানে পুষ্পরা সব নারীর মত।
কোমল— চপল পায়ে হাঁটে,
নির্ঘুম পাখির চোখে দেয়
তন্দ্রার পসরা।
আমি কি চিরদিন এইখানে রব?
সারা অরণ্য ঘুরে খোঁজে পাইনি
সে ফুল— যা সবচেয়ে সুন্দর;
খোঁজে পাইনি সে গান—
যা পৃথিবীর কারো মুখে শুনিনি;
খোঁজে পাইনি সেই উপহাস—
যা মানুষকে কাঁদায়নি কভুও।
সবচেয়ে সুন্দর ফুলের লোভে
আমি ফিরে যাব পৃথিবীতে আবার।
হয়তো কোনো নারীর খোঁপায়
কিংবা রান্না ঘরের অপয়া বয়ামটায়
একান্তে গলে যাচ্ছে সে ফুল;
হয়তো কোনো নারী তার চোখ
দিয়ে গেয়ে যাচ্ছে সবচেয়ে সুন্দর গানটি;
তার খোঁজে আমি ঘুরব আর কত পথ?
মরে মরে বেঁচে উঠছি ক্রমাগত—
তবুও মেলেনি তার সন্ধান।
চারিদিকে জুয়াড়িদের আসর;
সর্প— দংশন— বিষ— বিষাক্ত ভীষন।
পথ— সেতু— নর্দমা— খাঁদ পেরিয়ে
এই বুঝি পেলাম আকাঙ্ক্ষিত
সেই নারী— যার খোঁপায়
গেঁথে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ফুল।
তারপর! তারপর এক বুক হতাশা—
নিরাশ.... সর্বাঙ্গ ডুবে কাঁদে বিষণ্ণতায়।