পৃথিবীর গোপনাঙ্গের সড়ক বেয়ে,
রেলযোগে—
কিংবা হুড তুলা রিকশার যাত্রী হয়ে,
নরকের সিঁড়ি মাড়িয়ে
স্বর্গের চিলেকোঠায়
স্বপ্নে বিভোর হয়ে রইব একদিন।

ক্ষুৎপিপাসায় পুড়বে হৃদয়,
বেদনার অগ্নিশিখায় দগ্ধ হবে দেহ।
বারংবার আমি ফিরে পেতে চাইব
আমার শৈশব-কৈশোরের প্রথম প্রেম,
যার শাড়ির আঁচলে আমার মূত্রের গন্ধ,
যার আপাদমস্তক মিশেছে আমার ভাবনা।

আমি বারংবার ফিরে পেতে চাইব সেই মহীয়সীকে
যে জীবন-মৃত্যুর দ্বারে দাঁড়িয়ে আমায় দেখিয়েছে
সত্য-সুন্দরের পথ,
আমায় শিখিয়েছে স্বর্গ হতে নরকের দূরত্ব।
যে মহিমান্বিত নারী আমায় দেখিয়েছে
পৃথিবীর বদনখানা।
আমায় মানুষ হতে উদ্বুদ্ধ করেছে যে নারী,
আমার জীবনের কাণ্ডারিনী;

হতাশায় ডুবে যাওয়া সূর্য যে তুলেছে জাগিয়ে,
ঘুমন্ত চিত্তে ঘটিয়েছে বিষণ্ণতার সৎকার।

আমার শৈশবের প্রথম শিক্ষক,
আমার পথপ্রদর্শক,
আমার মা।