লাশকাটাঘর—
তড়িঘড়ি করে ছুটছে গতপ্রাণ সত্তা,
দিঘল চুল বিহঙ্গের মত ঝাপটে পড়েছে
ডাগর আঁখির পল্লবে।
হাসের ডানায় চড়ে আসা বরই পাতা,
সুগন্ধী বায়ু রাজত্ব করছে আশপাশ।

ঝাউতলার ধার ঘেঁষে
পবণাভাবে হাঁসফাঁস করছে মৃগছানা।
তার সারা দেহে রক্তের দাগ,
চোখ বেয়ে পড়ছে অখণ্ড রক্তবিন্দু।
তরুলতার চোখে কালচে কান্নার জল,
সাথী হারানোটা যেন তার বড্ড অপরাধ।

খেলার মাঠে পঙ্গপালের মতন
ছড়িয়েছে মহামারীদের দল।
হিংস্র থাবায় ঝাঁকে ঝাঁকে মরছে ইঁদুর,
শালিকের দল তীরের উৎখাতে
পঙ্গুত্ব করেছে বরণ!

আবারো একদিন—
শাদারঙা ঘাসফুলের বুকে
আকাশ থেকে নেমে এলো
এক ঝাঁক গাঙচিল-
সন্ধ্যাতারার চিবুকে হাত বুলিয়ে
ঘুচিয়েছে বেদনার নিগ্রহ।

অপরাহ্ণে মহাসমারোহে বৃষ্টি,
উশকোখুশকো সজ্জায় এলো ঝড়।
পৃথিবীর সকল নীললোহিত মনস্তাপ,
যত চক্ষুক্ষরিত রক্তপাত,
মস্তকের উর্ধ্বের পরাক্রম
সব গিয়ে মিশেছে সেই লাশকাটাঘরে।