মহাজাগতিক নক্ষত্রের প্রবেশদ্বারে
জুটেছে মৃত এক গোলাপের সন্ধান।
তার চোয়ালের গোড়ার পাপড়িরা
ঝরে গেছে ভয়ংকর অভিমানে।

বারুদের উৎখাতে জীর্ণ হওয়া জনপদে
একসময় ছিল না মরণের আর্তনাদ,
ছিল না কোথাও রক্তসম মৃত্তিকা;
ছিল নদী,
মহাসমুদ্র,
যেথায় ছিল না জল,
মানুষের রক্তে ভাসত নৌযান।

পাণ্ডুবর্ণ মুখে ফ্যাঁকড়ার অলিন্দে
রক্তজবার রস চিবানো পিঁপড়ের দল
দৈবৎ ভর্ৎসনায় ভরিয়ে দিবে পৃথিবী।
সেদিন শ্রমিকের বীর্যের দাম বাড়বে,
বাড়বে মস্তিষ্কের চিরায়ত বাজারদর।

শয়তানের প্রবোধিত শিংহীন শয়তানেরা
পালাবে এই ভূখণ্ড ছেড়ে একদিন,
যেদিন মরুভূমির বুকে উদয় হবে
শৃঙ্গের বুকে ফাঁটল ধরানো ঝরনাধারা।

হাসপাতালের বারান্দার রেলিংয়ে একদিন
তৃষ্ণার্ত কোনো বিহঙ্গের অস্তিত্ব রবে না,
মানুষেরা শরীর কেঁটে রক্ত দিবে মেটাতে তেষ্টা,
সেদিন— কল্পনায় কবির চিত্রকর্ম ঝুলবে নক্ষত্রের দেশে।

নিরাপত্তার সংবিধান পেরিয়ে হরিণের দল
অন্তঃসারশূন্য চিত্তে ছুঁয়ে দিবে বাঘের নাক,
শিকারকে শিকারেই মেলে সন্তোষ,
হাতের নাগালে থাকে শত্রু কিংবা মিত্র'র দল।

শয়তানের দল স্বর্গের সিড়ি রেখেছে ঘিরে,
স্রষ্টার নিষেধাজ্ঞা ভেঙে তারা আমায় নিতে চায়।
জীবদ্দশায় তাদের কঙ্কাল চুরি খেলা
আবারো খেলতে চায় আমাকে নিয়ে।