অর্বাচীন বালিকা,
চরণে ঘুঙুরের ঘোমটা পেঁচিয়ে
পাড়ি দাও মৃত্তিকার অথই সিন্ধুতরঙ্গ।
যাযাবর মাঝির চাঁদোয়ার ইশারায়
ভেড়াও তোমার জীবন নাও।

আসমানি পাড়ের শাড়ির স্নিগ্ধতায়
দিশেহারা পর্যটক বৃক্ষজোড়া বন্ধকে
খোয়াবে ডেকেছে, "জগদীশ্বর"।
ঠোঁটের ডগায় রক্তজবার প্রতিচ্ছবি
বধ হওয়া হরিণের চোখে মায়া খুঁজে,
খ্যাঁকখ্যাঁক রবে তার চোখ ভাসে বানে।

অশ্বত্থ বৃক্ষের তলায় অপেক্ষারত ভ্রমর—
যার সারা শরীরে বার্ধক্যের ছোপ ছোপ দাগ,
তার চোখের বয়স সবে গড়িয়েছে ষোল,
তার হৃদয়মন্দির গড়েছে ক'দিন আগেই,
যার ভীতি একটি প্রজন্মের সাক্ষী,
যার মনস্তাপ একেকটি যুদ্ধের প্রত্যক্ষদর্শী,
যুদ্ধভীতি আবার তাকে নিরুদ্দেশ করে।

বিনোদিনী,
তুমি ও সাক্ষী হয়ে যাও আমার চোখের।
মিছিলের এই রমরমা ব্যবসা হতে বেরিয়ে
কাজলপূর্ণ চোখে সীমান্তের প্রাচীর গড়ো,
ক্রোধের চৌহদ্দী ছাড়িয়ে নিয়ে যাও
প্রীতির কুঁড়েঘরে— যার পায়ে মাটির গন্ধ।

বিনোদিনী,
আমি তোমার চুলের শপথ করে বলছি—
যুদ্ধ চাই না, প্রীতি চাই।