তবুও একদিন ফাল্গুনী নিশীথে
পৃথিবীর সব হরিণেরা নীড়ে ফিরে।
অন্ধকার নিঃশ্বাস ক্রমশ সরে যায়,
শিশু ওষ্ঠাধর বেড়ে উঠে মাতৃছায়ায়।

মধ্য দুপুরে জ্বরাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে
টহল দিতে পারো সিন্ধুর বদ্ধ কপাট।
চোখের দৃষ্টি মেঘের স্পর্শ পেলে
আমার ফুসফুস ঘুরে যেও একবার।

এই ভূমি— ভূমির বুকে বসত করা
লোকজন কেউ আমার স্বজন নন।
শীতের বিকেলে হিমের আঁচলে শুয়ে
আমি প্রবেশ করেছিলাম এই জনপদে।

ছায়াহীন যেই উদ্যানের সাথে
বৃক্ষের বিচ্ছেদ হাজার বছর ধরে,
তার সারা শরীরে আজ তরুর ছায়া
লাল— সবুজ ফুলে গুঞ্জিত অহর্নিশ।

মানবশূন্য যেই সড়কে কয়লার অভাবে,
ডিজেলের অভাবে বন্ধ হয়েছিল শকট—
সেই সড়কে আজ ক্ষিপ্র গতিতে ছুটছে গাড়ি
মানুষের রক্ত দিয়ে ক্ষুধা মেটায় সেই পুরনো ইঞ্জিন।