মানুষকে ভালোবেসে যদি মানুষ মরে যায়!
বলো, সে দায় কে নেবে?
তুমি নাকি অন্য মানুষ, যার রক্তে উন্মাদনা।
যার শরীরের হাড়গুলো পঁচে গেছে
ভালোবাসার দায়ে।
যার ঘামে আজও ভাসে মৃতের স্রোতহীন
নদী, যার চোখে তাকানো বারণ মানবজাতির।
প্রেমিকার হৃৎপিণ্ড কিনে নিয়েছি
এক গুচ্ছ রক্তজবার বিনিময়ে,
শিয়রে ফুটন্ত গোলাপের মুকুল ছেড়ায়
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত মৌমাছি
ভীতিপূর্ণ চোখে তাকায় এদিক-সেদিক।
কোথায় যাবে সে?
কার কাছে গেলে একটি চুম্বনের বদৌলতে
প্রজন্মের দায়ভার গোল্লায় যাবে?
পুড়তে পুড়তে ছিড়ে যাচ্ছে বৃদ্ধের শরীর,
তার মুখে যন্ত্রনার ছাপ নেই।
পাশে শায়িত যুবকের চোখ ঝলসে আসে,
মৃত্যুযুদ্ধের কাতরতা তাকে নিয়ে কবিতা সাজায়।
ঠোঁট তার জিহ্বা হতে দূরে ছুটে চলে,
মরতে মরতে বেঁচে উঠা মৃত্যুযোদ্ধা বৃদ্ধের দু'ফুঁটো জল
এই যুবকের অন্তিমশয্যায় এসে জায়গা নেয়।
সেই থেকে গোরস্তানের এপিটাফে বড় অক্ষরে লিখা,
একজন যুবক মানে একটি কবিতা,
একজন যুবক মানে একটি আগ্নেয়াস্ত্র,
একজন যুবক মানে একটি তেজী ঘোড়া,
একজন যুবক মানে একটি শ্যামল প্রকৃতি,
একজন যুবক মানে একটি রুক্ষমূর্তি সূর্য,
একজন যুবক মানে একটি খরস্রোতা নদী,
একজন যুবক মানে একটি ডিঙি নৌকা,
একজন যুবক মানে একটি চিত্রকর্ম,
একজন যুবক মানে একটি মুক্ত পাখি,
একজন যুবক মানে একটি মহাসমুদ্র,
একজন যুবক মানে একটি ইতিহাস,
একজন যুবক মানে একটি প্রজন্ম,
একজন যুবক মানে একটি পৃথিবী,
একজন যুবক মানে একটি কবিতা।
|| একজন যুবক মানে একটি কবিতা ||
~ সাইফ উল্লাহ।