নিয়মের এই জিঞ্জির
চূর্ণ করো, পার্বতী—
এখনো আমায় অনেক
ভালোবাসা বাকি তোমার।
ঘৃণার গরলে পূর্ণ
পাছদুয়ার'র ছিটকিনি
খুলে ছুড়ে মারো
উৎপীড়ক এর ললাটে।

মাথা হতে দু'হাত উপরে
অদৃশ্য এক সবুজ ছাতা,
যার আশ্রয়ে ফিরেছি
মত্যুর প্রাচীর থেকে;
ছাতার ধাতবে তোমার
চোখের উদ্ভট গন্ধ,
নিয়ন আলোর ছায়ায়
কালচে শাড়ির মায়া।

পুরো শহর বিকিয়ে গেছে
বিষণ্ণতার ইশতাহারে।
দেয়ালে দেয়ালে সব
ব্যর্থতার ক্ষতচিহ্ন—
যা আঁকা হয়েছে
মানুষের রক্তে;
রক্ত— খাঁটি রক্ত,
বুলেট বিঁধানো রক্ত।
এই রক্তের মহিমায়
ভোর-রাতে জ্বলে অনল,
পুড়ে যায় সীমন্ত।

এইখানে
মানুষেরা আসে, বিদায় নেয়
এক অদ্ভুত পদক্ষেপে।
এইখানে
পাখিরা আসে, বিদায় নেয়
এক অদ্ভুত পাখা ঝাপটানোর শব্দে।
এইখানে
কঙ্কালেরা আসে, বিদায় নেয়
এক অদ্ভুত হৃৎপিণ্ড খেলা খেলতে খেলতে।
এইখানে মানুষেরা আসে,
আবার ও একদিন—
এইখানে মানুষেরা আসবে।