কাঙালিনি, চিঠি খরিদ করবে?
তোমার নিমিত্তে থলেভর্তী চিঠি,
আমায় চিনেছো কাঙালিনি?
আমায় না চিনো, চোখ দুটো তো চিনো!
সুপরিচিত চোখ জোড়া ও চিনলে না!
শূন্যগর্ভ পকেট, চিঠি নেই আজ—
এই জনপদে বাঁচতে গেলে আমার
টাকার দরকার পড়ে না।
আমি কলা-রুটি খাই না,
গিলি আস্ত শব্দের স্তুপ।
প্রেমিকার বিষাদযুক্ত চিঠির দুঃখপীড়িত
শব্দের গন্ধ শুঁকে আমি নেশা করি।
কাঙালিনি, চিঠি খরিদ করবে?
নানান রঙয়ের, নানান ঢংয়ের
মানুষের হৃষ্টচিত্তের আশির্বাদবার্তা,
ক্ষুণ্ণ মনে সৃষ্ট অধিরতার বহিঃপ্রকাশ,
বিষণ্ণতার অনুশোচনায় সৃষ্ট পদাবলি,
আর কী চাও কাঙালিনি?
পৃথিবীর প্রতিটা প্রান্তে খোঁজেছি তোমায়।
সুপ্রভাত জানানোর বদলে পৃথিবীকে যখন
বিদায়ের ঘন্টার আওয়াজ শুনিয়েছিল
তখন আমি ঠিক অপর প্রান্তে।
এই অর্ধ-পৃথিবী পথ ঘুরে এসে
তোমার সাক্ষাৎ মেলেনি, কাঙালিনি।
কাঙালিনি, বিষাদ কিনবে?
এক হৃদয় বিষাদ রয়েছে আমার,
বিনামূল্যে উপহার দিব তোমায়।
বলো কাঙালিনি, বিষাদ কিনবে?