বসুমতির জেলখানায় এসেছে আমার মৃত্যুদণ্ডের হুকুম;
প্রিয়তমা, এই কালে আর কভুও আমাদের দেখা হবে না।
যে কবরের মাটি আমি নিজের জন্য কিনেছিলাম
তার দক্ষিণ পাশের বড়ই গাছের তলায় কবর দিও আমায়।
এপিটাফের কোণায় তোমার নাম যেন থাকে!
নাহয় প্রখর অভিমানে চোখ দুটো গলে যাবে আমার,
হৃদয়ের গহীনে ডাকা শোকসভায় বেদনারা ভীড় করবে,
তখন দেখব কীভাবে তোমার চিরল দাঁতের মৃন্ময়ী হাসি?
কবরের বাঁ পাশটা খালি থাকে যেন,
তার পাশে একটি রক্তজবার চারা দিবে—
তার মাথায় তোমার চুল বেঁধে দিও।
ফুলের গন্ধ যখন মাটি ভেদ করে পৌঁছাবে
আমি তোমার চুলের গন্ধ নিব।
প্রিয়তমা, চললাম আমি স্রষ্টার কাছে,
তোমার সাথে আরো কিছুকাল কাটাবার ইচ্ছা
মৃত্যুর পরে ও আমায় স্থির হতে দিবে না।
মৃত্যুকে ভালোবাসবার জন্যই তো জন্ম হয়েছিল আমাদের।
বড্ড দেরী হয়ে যাচ্ছে আমার,
জল্লাদ যদি অভিমান করে বসে!
তবে ফাসির দড়িটা ও শক্ত হয়ে যাবে,
মুখোশটা ও ফেরারি হয়ে যাবে রাগে।