একাদশী চন্দ্র  দিবা দ্বি প্রহর
অরুণ রবি জয়ে পূর্বাম্বর
রবিকর সে নয় খুনে শোক
বরণ ডালায় পলাশের থোক
উঁচু শির যত বৃক্ষ পালা
আমারে পরালো পুষ্প মালা
শিউলি চাদরে চরণে মাধুরী
আমারে বরণে হয় উতলা।

আধাঁর করিয়া শ্বেত মেঘের দলেরা
বাদ্য বাজায় গুড় মুড়িয়া
নবীণ কবি কৃষ্ণচূড়া
মম কীর্তনে হয় দিশাহারা।

নবীন প্রবীন হয় আগুয়ান
অপলকে চাহি করে আহ্বান
দ্বিতলে ভাবে দম্ভে দুয়ারে
কোন এ ক্ষণে নবীন বণে
তব হয়েছিল আগমন
একে একে সব ছেরে চলে গেছে
মোদেরো ঘনালো শুভক্ষণ।

নাম আহাদুজ্জামান
উমরেতে ছাপ্পান
বার্ধ্যকে হয় তানু আগুয়ান
চামরে ধরেছে টান
স্বপ্নেরা এগোয় গুটি গুটি পায়ে
দৃষ্টি হয়েছে ম্লান
আশার প্রদীপ একে একে জ্বালি
কিছু রয়ে গেছে বাকি
সে নাহয় তোরা পূর্ণ করিবি
সরে চলে যাব রাখি।
উষা কালে যত বল টলমল
প্রদোষেতে  নিশ্চল।

এবার ছুটির পালা
জোয়ানেরা নারে দরজাতে করা
প্রবীনেরা ছুটে পালা।

প্রতীক্ষার বাকি একটি প্রহর
হবে তারও অবসান
যা কিছু ছিল আপন মাঝে
সবি মা তোর তরে সপিলাম

মা তোর চরণে সপিলাম।