তিন বছরের সেই মেয়েটির
কতই না খুশির জীবন!
বারোতে এসে পেল সে, বাঁধ ভাঙ্গা যৌবন
আঠারো পেরুতেই বাবা -মায়ের
মেয়ে নিয়ে যাই না ভালো দিন -ক্ষন;
হঠাৎ করেই মেয়েটি সংসারে দিলো মন
নিজ পৃথিবীর মাঝেই সে, ব্যস্ত যে ভীষন...
কত হাঁসি কান্নার খেলা খেলে
দশ মাস পর পেল এক রতন।
এবার সে ব্যস্ত করতে তার যতন।
দিন রাত্রী তার ঘুম নেই,
ক্ষিধার জ্বালায়
রতন বুঝি কেঁদে উঠল এই
এবার একী হলো তার!
চোখের নিচে কালো দাগ
মুখের সৌন্দর্য যেন
চৈএর শুকনো মাটির মতন।
শরীর খানা তার নষ্ট হলো
কোথায় গেল যৌবন ?
পেটে তার খাবার নাই
তবুও রতনের পেট ভরলেই
সে যেন অসীম শান্তি পায়।
পরনের কাপড় খানায় তার,
কত যে কষ্টের ছিদ্র
শুধু তার একটাই চাওয়া
আমার রতন যেন হয় ভদ্র!
মায়ের আদর পেয়ে রতনেরও
বয়স হলো ভারী।
এবার ত্রিশের সেই সধবা নারী
পঞ্চাশে হারালো স্বামী।
এখন রতন যে তার কাছে একমাত্র দামী
সেই রতন হয়েছে এখন ব্যক্তি একজন নামী।
এবার সে ঘরে আনল
নবাবের এক দুলালী।
ষাটের সেই বিধবা নারী
এবার হলো যে চোখের বালি।
রাত দিন তাকে শুনতে হয়
ছেলে বউয়ের গালী।
বৃদ্ধ বয়সেও মাথায় চাপল
কষ্টের ভারী ডালী।
জীবন খানা তার থেমে গেল
দুঃখ নদীর ঘাটে,
চোখের জ্বল ফেলতে, ফেলতে
জীবন গেল তার বৃদ্ধাশ্রমের খাটে।।