কার্তিক মাসের এক ডুবু সন্ধ্যায়
সুপ্রসারিত দীর্ঘ পল্লব বেষ্টিত দুটি চোখের সংকোচহীন
উদাস দৃষ্টি; আমার আজও মনে পরে,
যেন অনন্তকাল পরে এক জোড়া পরিচিত চোখের
এক পলক চাহুনি আমাকে চিনে নিতে চাইছে,
বুকের অস্থি মজ্জা ভেদ করে।
এরপরে আমার প্রতিটা বেলার হিসাব
তোমার জানা, একটি মুহুর্ত তোমার দৃষ্টিসীমায়
থাকার জন্য কত রকম পাগলামি,
সেই সব স্মৃতিগুলোকে আজ তাড়িয়ে ফিরি,
ভালো, মন্দ, অবাঞ্ছিত আড্ডায় জমি,
স্মৃতির সব ভুলতে চাই, এখন আমি।
বাসন্তী আলোর সোনালী ভোর পেরিয়ে
চৈত্রের খড়তাপা একটি রুক্ষ দুপুর
জমেছে আছে আমার আকাশে,
আমার সোনালী ফসলের মাঠে শুধু রোদ্র খা খা
কোমল মাটি ফেটে চৌচির,বিরস, বিষণ্ণ দুপুর,
বিষাক্ত রোদের বাষ্প ধোঁয়া বিলুপ্ত রং তামাটে ঘাসে।
তুমি আমার মধ্যে তোমার স্বপ্নের মানুষকে খুঁজতে,
কিন্তু স্বপ্নের মানুষ যত সুন্দর আমি ততটা নই,
এটাই তোমার আমার মধ্যে ফাটল ধরালো,
একদিন জানলাম তোমার স্বপ্নে মানুষ পেয়ে গেছো,
অনেক কেঁদেছি একা একা গোপনে, নিভৃত্তে, কিন্তু
এতদিন পরে তোমার মুখে কষ্টের ছবি আমি দেখতে চাইনি;
তবু কেন এমন হলো...