খেলা যেদিন ফুরাবে যেতে হবে, তাই;
ভুলগুলো ভুলে যেও বন্ধু বিদায়।
হৈ চৈ আড্ডায়, খালি পরে কাপ
আমি নেই, শুনে বুঝি হবি নিরুত্তাপ।
কেন্টিনের চান মিয়া, ডাকি সুপারি,
শুনে কি সে খুশি হবে; না-কি গলা ভারী।
গ্রামের বন্ধুটা, ক্ষমা করো মোরে,
দেখা যখন হবে না; আর কোনো ভোরে।
তোর দেওয়া পাঞ্জবি ঝুলে ঝুলে কাঁদে,
আমি যখন অচেতন ঘোরতর নীদে।
প্রিয়তম বান্ধবী, কাঁদে ফিরো একা,
আমি নেই,তাই বুঝি লাগে ফাঁকা ফাঁকা।
ফুটপাতে বসবো না আর গা ঘেষে,
ভাবতেই সেই স্মৃতি চোখে জল আসে।
আমি তোর অগোচরে,বুঝবে না কিছু,
কাঁদে মন নিরবে তবু হাঁটে পিছু।
আমি সেই চেনা খুব,আজ কত দূর,
নিয়তির এই খেলা, বড় নিষ্ঠুর।
কথা দিয়ে রাখিনি গো, ভুলে যেও সব,
তোমার আকাশ, ধুঁয়ে মুছে করে নিও ছাপ।
জানি তুমি কাঁদবেই, তবু বলি মিছে,
মনে কর, তোর ছেলে আজও বেঁচে আছে।
খুব যখন মনে পড়ে আমাকে তোর,
হেসে আছি দেওয়ালে খুলে দেখ দোর।
মন যখন চাইবে শুনতে মোর কথা,
হাতে নিয়ে কাঁদবি কবিতার খাতা।
শরীরে খেয়াল রেখে, নিয়ম করে খেয়ো,
অবেলায় চলে গেছি, তাই মাফ করো।
পিতা-মাতার ঋণ কত হয়ে আছে জমা,
তোমাদের সোনামনি আজ চায় ক্ষমা।
আমাদের আঙ্গিনায় টোনা-টুনি পাখি,
চেয়ে যখন দেখবো না,তোর নীল আঁখি।
ছোট ছোট চুমু দিলাম তোর দুটি ছাকে,
ফাগুন ফুরালে যেন, ভুলোনা আমাকে।
কত করি বকাবকি, কাঠ বিড়ালী,
আমি নাই তোর বুঝি লাগবে খালি!
শত ব্যাথা ভুলে আজ ক্ষমা করো ভাই,
খেলা শেষে যেতে হয়, তাই চলে যাই।