ইদানিং আসরের কতিপয়সংখ্যক কবিবন্ধু নিতান্তই অকারনে কথনযুদ্ধে জড়িয়ে পরছেন। এটা অত্যান্ত দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয়।
কবিতা লেখা বা কবিতা পড়ার সূত্রধরে আমরা এই ব্লগের মাধ্যমে একে অনের খুব কাছে চলে যেতে পারছি। আমার উপলব্দিমতে, সাত মাস পূর্বে যখন এই ব্লগে প্রথম আসি তখন আমাকে কেউ চিনতো না আবার আমিও কাউকে চিনতাম না কিন্তু কবিতা পড়ার সাথে সাথে অনেক কবিকেই  এখন আমার খুব আপন বন্ধু মনে হয়। আমি তাদের কাছে কি সেটা না হয় অজানাই থাক তবে আমি যে তাদের প্রিয়বন্ধু ভাবতে পারছি এটাই বা কম কিসে।
এখানে যদি কেউ অন্যের জ্ঞান বা সৃষ্টিশীলতার পরিসীমা মাপার দায়িত্ব নিয়ে থাকেন তবে তা নিতান্তই নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর মত অবস্থা হতে পারে।
শতরূপে ভালোবাসার বইয়ের উপকথায় এডমিন লিখেছেন, "আসরের সদস্য সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। আসরে প্রতিদিন শতাধিক কবি তার রচিত কবিতা প্রকাশ করে থাকেন।" এই সংখ্যাটা ক্রমেই বেড়ে চলছে।
বেশ কয়েক মাস আগে আলোচনা সভায় দেখলাম জৈনক লেখক এডমিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন;আসরে মানহীন কবিতার আধিক্যতায় তিনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। এডমিনের দৃষ্টিআকর্ষণকারী লেখকের বক্তব্য ছিল, আসরে কবিতার মান বিচার করে যাতে শুধুমাত্র ভালো কবিতা প্রকাশ করা হয়। কিন্তু এডমিন মহোদয় উক্ত লেখকের বক্তব্য বিবেচনা যে নেননি তা আমি বুঝতে পারছি। কারণ আমার অকবিতাগুলো নিয়মিত প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে।
মানের বিচারে আমার মত অনেকের কবিতা কবিতার ধারে কাছে যাচ্ছে না, যেটা খোদ এডমিন মহোদয়ের নিকটও অজানা কোন বিষয় নয়। সর্বোপরি সার্কেলটার ব্যাপ্তিটা বাড়ুক এটাই হয়তো সবার ইচ্ছা। ব্লগটার প্রতিষ্ঠিত একটা রূপ তৈরি হলে, যারা আমরা এই ব্লগের সাথে কোন না কোন ভাবে যুক্ত আছি তাতেও তো কম গর্বের বিষয় নয়।
তাহলে কেন নিজেকে খুব জ্ঞানীর কাতারে বিবেচনায় রেখে অন্যজনকে সুক্ষ্ম ভাবে তিরস্কার করার চেষ্টা চলছে। চেষ্টাকারীরা খুবই ভদ্র। তারা তিরস্কারের জন্য মার্জিত ভাষা প্রয়োগ করেন।
আমি বলি যারা ভালো লেখেন তাদের তো ভালো পাঠকও দরকার পরে ।  আর যারা কবিতা লেখার চেষ্টাটা করে তারা কবিতা না লিখতে পারলেও, কবিতার যে আদর্শ পাঠক সেটা অনুমান করার জন্য কোন রিক্টার স্কেল লাগার কথা না।
আসরে যারা বেশি পুরানো তারা আমাদের এই প্রিয় আসরের শ্রদ্ধীয় ব্যক্তিত্ব।
আর যে যত বেশ ভাল লিখেন তার কাছ থেকে আমরা বেশি বিনয় আশা করতেই তো পারি।
আমরা আসরের প্রতিটা সদস্যকে যদি বন্ধুজ্ঞানে জানি তবে আসরের পরিবেশ নিশ্চই আরও বেশি প্রাণবন্ত এবং আনন্দঘন হতে বাধ্য।
সুতরাং আমাদের এই বিশাল বন্ধুত্বের সার্কেল ক্রমবর্ধিত হউক এবং চির অম্লন থাকুক এটাই হোক সবার প্রত্যশা জায়গা।

১৬ মে-২০১৫ইং
গাজীপুর,ঢাকা।