সেই সাত সকালে তুমি আমাকে বাসায় তুলেছিলে।ভেবেছিলাম,তখনই তুমি আমাকে শেষ করে দিবে।কিন্তু না, তখনকার মত তুমি আমাকে ক্ষান্ত দিয়ে আমাকে সযতনে বাসায় রেখে বেরিয়ে পড়েছিলে।দুপুর গড়িয়ে গেলো, তুমি বাসায় আসনি। আমি তোমার অপেক্ষায় ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ঘড়ির কাটার সেকেন্ড মিনিট ঘন্টা সব একে একে গুনে যাচ্ছি।তোমার অপেক্ষায় একটি প্রহর কাটিয়ে দিলাম,কিন্তু তুমি আসনি।
সারাদিন কোথায় ছিলে,কি করেছো,কিছু খেয়েছো কি না, কিছুই জানার কোনো অধিকার আমার নাই।সে ক্ষমতা তুমি আমাকে দেওনি।তাছাড়া আমিতো আবার জন্মগত ভাবে বোবা,তোমার সাথে কিভাবে কথা বলি।
তুমি এসেছো সেই দুপুর ও বিকাল গড়িয়ে সন্ধা হওয়ার পর।ঘরের বাতিটা জ্বালিয়ে দিয়েই ক্লান্ত পরিশ্রান্ত দেহে আমার গলা জড়িয়ে ধরলে। এক হেছকায় আমার মুখের ঘুমটা খুলে নিলে।কিন্তু পরক্ষনে কি ভেবে আমাকে টেবিলের উপর বসিয়ে রেখে তুমি একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে পড়লে। তোমার সারা শরির ঘেমে ভিজে একাকার হয়ে আছে।তোমার শরিরের একটা বুদবুদে গন্ধ আমার নাকে এসে লাগছে।
তুমি আনমনে কি যেন ভেবে চলেছো।মাঝে মাঝে তৃষ্ণার্থ চোঁখে আমার দিকে তাকাচ্ছ। তোমার এই তাকানো দেখে আমি ভয়ে ঘেমে ভিজে যাচ্ছি। আমার শরির থেকে ফুটা ফুটা পানি গড়িয়ে পড়ছে। তুমি তোমার শরিরের ঘামটা মুছতে পারলেও আমি পারছিনা আমার ঘামটা মুছতে।
এভাবে অনেক্ষন তুমি বসে বসে কি ভাবছো? নাকি সারাদিনের ক্লান্তি দুর করছো ? তোমার এই অসহায়ত্ব দেখে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু আমার কিছুই করার নেই।আমি যে জন্মগত ভাবে খুবই অসহায়।তুমি আমার দিকে মাঝে মাঝে তাকাচ্ছ, আর আমি তোমার দিকে অপলক তাকিয়ে আছি।
তুমি যখন আমার দিকে তাকাওনা তখন মনে হয় এই বুঝি আমি শেষ।এই বুঝি আমার গলা আবার জড়িয়ে ধরবে, আমাকে শেষ করে দিয়ে ছুড়ে ফেলে দিবে।হা, আমি জানি তুমি যখন আমাকে ধরবে এক নিশ্বাসে আমাকে শেষ করে দিবে।আমার কিছুই করার থাকবেনা নিজেকে তোমার হাতে সপে দেয়া ছাড়া।কেননা আসলে আমি যে এক কোমল পানিয় পেপসি ছাড়া আর কিছু নয়।