অস্পৃশ্য, অতি নগণ্য সমাজের এক ইতর
গেন্দা চোরের বেটা সে, পান্তা সিঁধেল চোর
সমাজে কেউ নেই তার, দুর দুর করে সবে,
খোঁজেনা কেহ, জিগায়না কেউ ভাত খেয়েছ কবে।
মস্তক নুুয়ে রাস্তায় চলে চায়না কোন দিকে
সমাজের এক জঞ্জাল, কোনমতে রয় টিকে।
পেটের ক্ষুধায় দিশেহারা পরিবার কাঁদে তাই
অন্ন যোগাতে চুরি করে সে গাড়ি কিনিতে নয়।
পুরাতন পেশা ইদানিং আর আগের মতো নাই
চারিদিকে সব দালানবাড়ি, দারোয়ান পাহারায়।
ঐতিহ্যবাহী বাংগালী পেশা বিলুপ্তির পথে যায়,
তাই বলেতো পেটের ক্ষুধা কখনও থেমে নাই।
একটি পেটের যায়গায় এখন দশটি পেটের ঘর
শাক পাতা আর কচু ঘেচু খেয়ে কাটায় দিন ভর।
অপুষ্টিতে ভুগছে সবাই, সাক্ষী বুকের জাগা হাড়
সকল রোগের আবাস এখন চোরের ভাংগা ঘর।
গেল শীতে সিংমনডায় ধরা খেয়ে মোল্লা বাড়ির দ্বারে
জনগণের পিটুনি খেয়ে এখনও যে হাড় মড় মড় করে।
সারাজীবন ফাল মেরেছে লোকের ঘরে ঘরে
বন্ধুরা তার ফালের কাজ কলম দিয়ে করে।
সে যে এখন মরছে ধুকে, তবু সুখ সে ভেবে পায়,
জনপ্রিয় তার পেশা এখন বিশ্বজুড়ে দ্বিতীয়টি নাই ।
মাটির দেয়াল খোড়ে না আর রাতের অন্ধকারে
দিন দুপুরে ব্যংক ডাকাতি করেন সমারোহে।
টিকি তাদের পায়না খুঁজে, বিদেশে দেয় পাড়ি,
জনগণের টাকায় তারা কিনছে নতুন বাড়ি, গাড়ী।