মানবতা আর বর্বরতার রসায়নে
মানুষ সৃজিয়া পরীক্ষা করিবেন বলে
ক্ষমতা দিলেন জনে জনে
ইচ্ছা শক্তির উন্মেষে
বিজারনে বর্বরতা হটিয়ে মানবতার বিকাশ ঘটাতে।
সেই আদিকাল হতে
প্রকৃতির সাথে সংঘাত আর যুদ্ধ করে করে
শিক্ষা অর্জন করল মানুষ যুগে যুগে।
সার্ভাইভ্যালেন্সের সকল প্রতিকূলতা
জয় করে মানুষ পেয়েছে বর্তমান সভ্যতা
জ্ঞান বিজ্ঞানে বিরাজে এখন চরম উৎকর্ষতা
এ সবই মানুষের জ্ঞানের ফসল,
মানবতা নয়, মানুষের সফলতা।
প্রশ্ন থেকে যায়,
জারন বিজারনের সফলতায়
কতটুকু বিকশিত হয়েছে মানবতা?
বর্বরতা কি সরাতে পেরেছে আধুনিকতা?
নাকি উন্মেষ ঘটেছে বর্বরতার আধুনিক সংস্করণ?
প্রশ্ন থেকে যায়।
বর্বরতা হটিয়ে বিকাশে মানবতা
কী সহায়তা করেছে আধুনিকতা?
জ্ঞান বিজ্ঞান বিধাতার দান,
চর্চা করলেই বাড়ে,
কোন জ্ঞানের চর্চা করছি আমরা
মানবতার কল্যাণে?
প্রশ্ন থেকে যায়।
মানবতা বোধে অপশক্তি রোধে
কোন শিক্ষাদান হয় কি পাঠশালায়?
পক্ষান্তরে, আজিকে সবাই ব্যস্ত সদাই
লাভ ক্ষতির অংক মেলাতে,
ভুলেছে অঙ্গীকার, অবরুদ্ধ কারাগারে
বন্দি মানবতা আজ হয়েছে বর্বর।
আদিমতার অধুনা সংস্করণে
দলবেধে আজি পশুর বদলে
মানুুষ তাড়িয়ে ফেরে।
২৮ ডিসেম্বর ২০২২
মিরপুর, কুষ্টিয়া