ওরে মানুষ আছো বেহুঁশ, হুঁশে আসবে কবে
জন্মেছ যে, ধরার মাঝে, মরতে তো তাই হবে।
ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা কেউ বেঁচে না রবে,
সাদা কাপড় কাফন পরে মাটির তলে যাবে।

মরতে কারো দেখেছ কি? মরণ কেমন হয়?
উঁচু তলার মানুষ তোমার নেই যে য়রণ
এমন তো আর নয়।
মরণের আজাব কী তা মরেছে যে জানে,
মৃত ব্যক্তি ফিরে যদি বর্ণণাটা দিত
দুনিয়াদারি ছেড়ে মানুষ পাগল হয়ে যেত।
জ্যন্ত পশুর শরীর থেকে চামড়া খুলে নিয়ে
কলজে চিরে আত্মা নিবে, মৃত্যুদ্যুতের হাতে,
কী যন্ত্রণা হতে পারে ভেবে দেখ মনে,
তার থেকেও বেশি আযাব মন্দ লোকের হবে।

দম আটকে যায় ভাবতে গেলে
কলিজার টুকরা ছেলে-মেয়ে
ফুলের টোকায় ব্যাথা লাগে, মায়ের অন্তরে,
কী যন্ত্রণা পাবে তারা, আপন মৃত্যুতে।

আশার কথা শোনো এবার হাদিসেতে আছে,
ঈমানদারের মৃত্যূ হবে আসানির সাথে।
কলসি থেকে পানি যেমন গড়িয়ে যায় পড়ে
ঈমানদারের আত্মা তেমন নিজেই যাবে
মৃত্যুদূতের হাতে।
আল্লাহ যাকে ভালোবাসেন, সবাই ভালোবেসে
ফেরেশতারা লুফে নিবেন ভালো আত্মা জেনে।

এমন মরণ চাই যে সবাই, মরতে যখন হবে
ঈমানদারের যেমন মরণ আল্লাহ দিয়ে থাকে।
নিজে বাঁচি সাথে বিবি ছেলে-মেয়ে নিয়ে
তাওবা করে ফিরে আসি,
নামাজ রোজা পালন করি,
অটল থাকে ঈমান যেন সবার মরণে।

০৪ জানুয়ারি ২০২৩
মিরপুর, কুষ্টিয়া