বঙ্গবন্ধু!
সে তো বাঙালীর রক্তের ঝর্না কলমের অঝর কালিতে রচিত জ্বলজ্বলে মহাকাব্যের
মহানায়ক এক!
যিনি রাক্ষসের, দানবের, ঘাতকের প্রাণনাশ করে
বিজয়ী বীরপুরুষের মত ফিরে এসে জনতাকে বলে-
এই নে ধর, স্বাধীনতা!
মুক্তির ঘ্রাণ নে সব, আর নয় মাথা নত!
আজাদী জয়োল্লাসে মেতে ওঠ, বাঙালী!
বাঁচ এবার তোরা, মানুষের মত!
বঙ্গবন্ধু!
সে তো শ্রেষ্ঠ বৈয়াকরণের দেওয়া বাংলার নির্ভুল ব্যাসবাক্য-
বঙ্গের বন্ধু!
যিনি বাঙালীর আভূমিকাশ বঞ্চনার অধৈর্য সারাংশকারী হয়ে ঘোষনা দেয়-
“এবারের সংগ্রাম, আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম, স্বাধীনতার সংগ্রাম!”
বঙ্গবন্ধু!
সে তো বুলডোজারের নিচে চাপা পড়বার ইস্পাত কঠিন
এক প্রসস্ত বুক!
চাপে-তাপে যাঁর জীবন চলে যায়, যাক না!
তবু লালসার ডেনা ঝাড়া মেরে চিৎকার দিয়ে জানিয়ে দেয়-
“আমি প্রধানমন্ত্রীত্ব চায় না,
আমি বাংলার মানুষের মুক্তি চায়।”
বঙ্গবন্ধু!
সে তো থর থর কাপন ওঠাদের বুকে অবিরাম সাহসের ফুঁ মেরে রক্ত গরম করার
এক ক্ষ্যাপা বাঁশি!
যিনি দমে দমে রাগিনীতে তোলে শত্রæ হননের জ্বালাময়ী সুর,
আর জোয়ান-বুড়ো’র ধমনী, শিরায়, উপশিরায়
মুক্তাকাঙ্খার উতাল-পাতাল ঝড় তুলে বলে-
“মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব
তবু বাংলাদেশকে মুক্ত করেই ছাড়বো, ইনশাল্লাহ।”