আজ বেশ মেঘলা আকাশ
পড়ন্ত বিকেল
স্নিগ্ধ বাতাস
হঠাৎ হারিয়ে গেলো ঘনকালো আধাঁরে ।
এদিক ওদিক যতদূর চোখ যায়;
আঁকাবাঁকা মেঠু পথ
কৃষাণের ধান কাধেঁ ঘরে ফেরার তাড়াহুড়ো
কৃষাণীর ওঠোন কোণে ছটফটে দৃষ্টি
তারপর ওই যে চলনবিলে পানকৌড়ির ওড়াউড়ি;
সবাই যেন কেমন প্রিয়জনের প্রতীক্ষায়
আপন হৃদকোণে আনন্দের সীমা ছাড়িয়ে।
মেঘগুলো ক্রমশই মাথার নিকটে চলে আসছে
পশ্চিমাকাশে দুই একটি সাদা বক
বিনে কিছুই দেখা যাচ্ছে না!
সূর্যের শেষ অবস্থা; যেমন
সূর্যাস্ত যাবে কিনা যাবে
অথবা চলে গেছে কিনা বুঝবার সাধ্য টুকু নেই!
এই এখনই হয়তো বৃষ্টি আসবে
সেই সাথে তুমিও
যেমন বৃষ্টি, আমি আর এই তপ্তরোদের রেহাই পাওয়া প্রকৃতি,
মিশে একাকার হয়ে একটি আগমনী বর্ষার কবিতা লিখবো;
যা হবে কিনা এই বর্ষার শ্রেষ্ঠ উপহার।
হঠাৎ,
একফোঁটা দুইফোঁটা করে বৃষ্টি এসে
এক এক করে ভিজিয়ে দিলো আমার শরীর,
আমি ভাবলাম, এইবুঝি তোমার আসার সময় হলো;
আমি এক এক করে লালশাপলা, ফুটন্ত কদম, কৃষ্ণচূড়াসহ সবাইকে ডেকে নিলাম
পাখিরাও এসে আমায় সঙ্গ দিলো
এখন শুধু তোমার অপেক্ষা।
তুমি আসবে বলে
এক, দুই, তিন ঘন্টা পার হয়ে গেল
অধৈর্য্য বৃষ্টিও থেমে গেছে
নিস্তব্ধ চারিদিক,
নেচে খেলে চলে গেলো শালিক, বক আর পানকৌড়িরা
তবুও তোমার আসার নাম নেই!
এখন এদিক ওদিক আর কিছুই দেখা যায়না ;
কৃষ্ণচূড়া-মেঠুপথ-শালিকের ঝাঁক কিছুই না
কিছুই না!
আশেপাশে অন্ধকারটুকু বাদ দিলে
যেটুকু থাকে তাহলো;
বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা আর আমি!