সাধক যখন বাদক বেশে
সাধু কি তাকে লোকে কয়?
যেদিন বহুদুর গেছে চলে,
সেতো গিয়েছিলেন ভুলে
তবে কেন মিছে এতো নাটকের ছল
কেনইবা তবে নিশিথ মেঘে রাত্রিভেজা জল!
রাতের চাঁদ ডুবে গেছে কবে
জানি না সেতো, মানিয়ে নিয়েছি
আমি আঁধার ঘাটের মাঝি!
একের পর এক প্রাণহীন কবিতার শব ;
ছিঁড়েখুড়ে দখল নিয়েছে আমায়!
প্রথমতো অসহ্য মনে হলেও
নিশ্চল আমি এখন সব সয়েগেছি!
তবুও কেন মধ্যরাতের পরকীয়া
তোমার এতো ভালো লাগে,
আগেই বলেছি এতো,
জ্বালিয়ে মারে আমায়
তবুও কেন এইসব ফালতু ন্যাকামী!
এইসব ভন্ডপীরের মন্ত্রবাণী
এইসব মিথ্যে গলবন্ধনী
অগ্নিশিখার ন্যায় অসহ্য যন্ত্রণায়
পুড়ে পুড়ে ছারখার করে আমায় ;
তবুও আমি কিছুই বলিনি!
অসভ্য শান্ত্বনাগুলো যখন যন্ত্রণার মন্ত্র হয়,
একের পর এক মন্ত্র দিয়ে
খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বের করে হৃদপিণ্ডে জমে থাকে রক্তরস ;
তখন নিজেকে বড্ড অসহ্য লাগে,
একে একে রক্তশূণ্য হতে থাকে আমার হাত, পা, আপাদমস্তক
পাংশুবর্ণ ধারণ করি আমি!
এই নিষ্কলা চোখ, এই বিবর্ণ মুখ আর এই বৃক্ষন্যায় নিথর দেহ
শীতল থেকে শীতলতর হতে থাকে,
একের পর এক কালবৈশাখী বজ্রে
নিস্তব্ধ নিষ্ক্রিয় করে হৃদস্পন্দন
যেন আমি আছি প্রাণ নেই ;
এক জীবহীন মানুষের মূর্তি মাত্র !