দেখো মা চেয়ে দেখো
আজ আমি কত্তো বড় হয়েছি,
তোমার সেই ছোট্ট আপন সোনা
আজ ঊনিশে পা ফেলেছে।
অমন করে কি দেখছো বাবা?
তোমার থেকে লম্বা হলাম কিভাবে?
দাড়ি গোফ হলো কি করে?
অশ্রু ফেলবে না বললাম,,
একদম না!
দেখো মা,
বাবাকে কিছু বলো?
কেমন করে চুপচাপ দাড়িয়ে সবাই
আমি কিন্তু কেঁদে দিবো!

"এইতো সেদিন এমনি এক চাঁদনী রাতে
তুই আমার ঘর আলোকিত করেছিলি,
আমি আর তোর মা সুখে কাঁছিলাম,
তারপর ঊনিশ টা বছর কেমন করে গেলো
মনে হলো ঊনিশটা রাত পোহিয়েছি মাত্র,
এইতো কদিন আগে
তোর জেঠু তোকে নিয়ে গিয়েছিল নিজের ছেলে করে,
তুই বুধবার যাবি বলে এসে পড়লি,
তারপর দশবার তোকে নিয়েও তোর জেঠু রাখতে পারলো না
আমাদের থেকে আলাদা করে,
আজ চার বছর হলো দূর কলেজের ছাত্রাবাসে আছিস
আমাদের রেখে,
আমাদের মনে করে মাঝেমধ্যেই কাঁদিস
প্রায়ই বলে তোর বন্ধুরা,
এমন করেই হয়তো একদিন আমিও চলে যাবো!
চলে যাবে তোর মা!!
কিন্তু তুই থেকে যাবি অনেক দিন,
বাবা অনেকদিন থেকে যাবি....
জানি না তখন তোকে কে দেখবে!
কে স্নেহাস্পর্শে আগলে রাখবে!!
বাবা তুই যেখানেই থাকবি ভালো থাকবি,
তুই অনেক বড় হবি বাবা
তুই অনেক বড় হবি।  "
বাবা,
এভাবে বলো না, আমি যতই বড় হই ;
চেয়ে দেখো ,
এখনো আমি  এখনো তোমার ছোট্ট আপন সোনা ই আছি,
আর আমাকে ছেড়ে তোমরা কোথাও যেতে পারবে না,
কোথাও ...না,
তার আগেই যেন বিধাতা এই আমাকে নিয়ে যায়,
এই আমার বোধশক্তি নষ্ট করে দেয়....

তোমরা আছো বলেই আমি আছি
মা ,বাবা, তোমরাই আমার শ্বাস
তোমরাই আমার প্রশ্বাস।