গ্রীষ্মের খরা রোদে যখন তোমায় খুঁজে বেড়াই,
তপ্ত ধূলিতে যখন তোমার স্পর্শ খুঁজি
গরম বাতাসে তোমার গন্ধ নিই,
তখন শুধু তুমিহীন রোদ-ধূলি-বাতাস আমায় সঙ্গ দেয়,
বলে দেয় তুমি এই আকাশে নয় ,অন্য কোথাও বিচরণ করছো,
আমি নিরাশ হইনি হন্য হয়েই খুঁজেছি তোমায়,
সারাদিন সারাদুপুর সারাবেলা।
অবশেষে তোমার স্পর্শ না পাওয়া এই মন ক্লান্তিময় দেহ
সন্ধ্যার দখিনা বাতাসে গা এলিয়ে বসে থাকে ;
তুমি শীতল হাওয়ার বেশে আমায় ছুঁয়ে যাও
উষ্ণ দেহে শান্তির পরশ দিয়ে যাও।
আমি মগ্নচিত্তে তোমায় অনুভব করি,
তখন আমার অনুভবে শুধুই তুমি
যেমন তুমি আমি পাশাপাশি এক ছোট্ট ঘরের
জানালার ফাকে চাঁদের আলোয়
পিঠের সাথে পিঠ লাগিয়ে বসে আছি ;
তুমি আমায় চাঁদের সৌন্দর্য্য দেখাচ্ছো
আমি সেই সৌন্দ্যর্যের সাথে তোমার মিলিয়ে রাত ফুরিয়ে দিচ্ছি।
অতঃপর ভোরের আলো এসে আবার তোমাকে দূরে নিয়ে যায়,
বহুদূরে .....
যেখানে দখিনা হাওয়ার সন্ধ্যা বসেছে সেখানে!