ও ছেলে তোমার নাম কি গো?
কি জানি গো,
আমি কি আর অত বুঝি
সারাদিন যায় এ হাত ও হাতে
সাঝের বেলায় মায়ের বুকে মাথাগুজি,
হাতটি রেখে আমার গায়
কাঁদোকাঁদো স্বরে টেনে
মা তো বলে সাত রাজার ধন
তুই তো আমার মুখের হাসি।
ও মামু, হাসি কি কারো নাম হয়
তবে আমার নামটা হয়তো হাসি।
বাবা বলে, চাঁদের কুমার
ফুপি ডাকে রূপবাহার
খালামনি সোনারখনি
দাদি যে কয় চোখেরমণি
দাদু বলে রাজাধিরাজ
নানি বলে স্বপ্নরাজ
বলো মামু, এসব কি কারো নাম হয়?
তবে তো আমি শত নামী।
নানু তো সেই প্রথম দিনেই
খুশির যেন অন্ত নেই,
চোখে জল মুখে হাসি
বললো আমার কানে আসি,
পঁচিশ থেকে পঞ্চাশ আমি
খুঁজেছি তরে ধরণী পরে
পায়নি বলে খোদার তরে
কত ফেলেছি চোখের পানি!
সত্তরোর্ধে অন্তর্যামী শুনলো আমার কথা,
আমারই চাঁদের বক্ষপটে আনলো তরে
আমার কুলে।
অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে
সারাগায়ে ঠোঁট লাগিয়ে
চুমু এঁকে দিলো লিখে
এ যে আমার পরম পাওয়া
তাঁহার তরে লাখো শুকরিয়া,
আজ পূর্ণ আমার ললাট।
বলো মামু,
ললাট কি কোন শিশুর নাম?
তবে আমাকে তুমি ডেকো ললাট।