আমি ভালো নেই হিয়া
আমার মুখে আর হাসি ফুটে না,
আমি সম্পুর্ন বেমালুম হয়ে গেছি হাসতে!
আমার কলিজার ভিতর থেকে আর কোন
আবেগ আসে না, করি না! কোন আবৃত্তি
বিরহের কবিতার পঙক্তি মালা।
হাসি ফুটে না মুখে, যৌবন বড়া সুসময়
একটি বিকেলে জন্যে ও।
এক সহস্র বছর নশ্বর এ-ই পৃথিবীতে
কবি হাসে না! খুঁজে পায়না কবিতার রচন,
ভুলে গেছে।
ইরাবতী তোমার মুখের হাসি দেখি না,
এ-কি যন্ত্রণার ধাবাদাহ্ এই বিষাদের সুর,
আমার বুকটাকে মরুভূমি করে তুলেছে,
আমি বিষন পিপাসিত খুব ক্ষুধার্ত।
এক ভয়ংকর বছর আগে শয়ন পূর্ণিমার
চাঁদকে চাক্ষুষ ও আমি!
তোমার এতোটুকু হাসির ঝলকানিতে
জ্যোৎস্না মুখ গুমরে কাঁদে,
আকাশ থেকে ঝরে পরে বৃষ্টি।
তোমার বাঁকা ঠোঁটের মৃদু হাসির রশনা
জ্যোৎস্না মাখা চাঁদ ফুটে ওই গগন তলে,
বাঁশরিয়া প্রেমের বাঁশরী বাজায় গাঙ্গের কূলে।
ইরাবতী, একি নির্লজ্জ কষ্ট' একি হাহাকার'
বেদনা তুমি অনুধ্যান করতে পারো পথিক?
আমি ভালো নেই রাণী, কত বসন্ত চলে গেল-
তোমার মুখের হাসি দেখি না,আহ।
তোমার প্রাণ উজ্জ্বল হাসি মুখ দেখার লোভে
পথিমধ্যে তোমার অপেক্ষায় সেই
দখিনের মেঠো পথে দারিয়ে আছি প্রিয়া,
তোমার চকোর ভরা চাহনিতে ফুটে উঠবে
দ্যুলোক-ভূলোক মোর মনের গহিনে প্রেমের বসন্ত।